HighlightNewsদেশ

সংসদে গরহাজির সাংসদদের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী, প্রহ্লাদ যোশীর থেকে চাইলেন তালিকা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পেগাসাস নিয়ে বিরোধীদের হই হট্টগোল। যার জেরে প্রায়ই বর্ষাকালীন অধিবেশন মুলতুবি। এরইমধ্যে সংসদের দুই কক্ষে পাস করানো হচ্ছে একের পর এক বিল। বিল পাস করাতে দরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা। যার জন্য দলীয় সাংসদদের উদ্দেশ্যে হুইপ জারি করেছিল বিজেপি। তারপরেও হেলদোল নেই পদ্ম সাংসদদের। যার জেরে বেজায় চটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর থেকে গরহাজির দলীয় সাংসদদের নামের তালিকা চেয়েছেন তিনি। হুইপ জারি করার পরও বিজেপি সাংসদদের ১০০% উপস্থিতি নেই। বিষয়টিকে মোটেও ভালো ভাবে নিচ্ছেন না নমো। মন্ত্রীর থেকে অনুপস্থিত সাংসদদের তালিকা চেয়েছেন তিনি। ফলে বিজেপির অন্দরমহলে নতুন উদ্বেগ। কারণ এর আগে দলের সাংসদদের হাজিরা নিয়ে এত কড়া মনোভাব দেখাতে প্রধানমন্ত্রীকে আগে দেখা যায়নি। বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার রাজ্যসভায় যখন ট্রাইবুনাল রিফর্মস বিল নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল তখন গরহাজির ছিলেন দলের বেশ কিছু সাংসদ। বিরোধী শিবির দাবি জানাচ্ছিল, বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য। সেই সময় বাধ্য হয়ে রাজ্যসভার প্যানেল চেয়ার ভোটাভুটির নির্দেশ দেন। সভাকক্ষে হাজির বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে বিজেপির সাংসদদের সংখ্যার ব্যবধান বেশি নয়। এই পরিস্থিতিতে জরুরি নির্দেশ পেয়ে সভাকক্ষে ঢোকেন বেশ কয়েকজন পদ্ম সাংসদ। তারপরেই বিলটি পাস হয়। এই সপ্তাহের শেষ হচ্ছে বাদল অধিবেশন। তার আগে বৈঠকে বসেন মোদি। সেখানেই অনুপস্থিত সাংসদদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সাংসদদের গরহাজিরা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি সাংসদের কথায়, মোদি দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন প্রত্যেক সাংসদকে সংসদে সময় দিতে হবে। এমনকি মন্ত্রীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশ ছিল। তাতে বলা হয়েছিল, নিজেদের মন্ত্রকের কাজ সামলে লোকসভা ও রাজ্যসভা রোস্টার ডিউটি পালন করতে হবে। তার পরেও কীভাবে নির্দেশ অমান্য তা ভাবার চেয়ে দলেরই বহু নেতাকে।

Related Articles

Back to top button
error: