রাজ্য

এসএসসি কমিশন অযোগ্য এবং এটি খারিজ করা উচিত : মত হাইকোর্টের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ২৯ জুন এসএসসি কমিশনের ওয়েবসাইটে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এসএসসি বোর্ড এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম দুর্নীতির ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে ৩০ জুন কয়েকটি মামলা করা হয়। এই মামলার শুনানির পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তিনি এসএসসি কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বারবার দূর্ণীতির অভিযোগ ওঠায় কমিশনকে কঠোর ভাষার ভৎসনা করেন। এস এস সি কমিশনকে অযোগ্য আখ্যা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, “কেন ২০১৯ অক্টোবরের গাইডলাইন ফলো করেনি কমিশন? কোন কর্মকর্তারা এম কমিশন পরিচালনা করেন। এই কমিশন খারিজ করে দেওয়া উচিত। ৫ বছরেও কমিশন নিয়োগ করতে পারেনি।”

ইন্টারভিউ সম্পর্কিত নির্দেশিকা কত পার্সেন্ট থাকলে ইন্টারভিউতে ডাক পড়বে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি বলে অভিযোগ করে মামলাকারীরা। “পরীক্ষার্থীর থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।” দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা ঘুষ নিয়েছে তাদের ঘেরাও করা উচিত।” তিনি সরকারের কাছে দাবি করেন, “এ সমস্ত দুর্নীতি পরায়ন নেতা-মন্ত্রীদের সর্বসমক্ষে শাস্তি দেওয়া উচিত।” এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ৭ দিনের মধ্যে নতুন ইন্টারভিউর তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এই তালিকায় যাদের নাম নেই তাদের প্রাপ্ত নম্বর সহ নাম প্রকাশ করতে হবে এবং একই সঙ্গে তাদের নাম কেন ছিল না তার কারণ দর্শাতে হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান শুভঙ্কর সরকারকে কোর্টে তলব করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগেই ১৪০০০ চাকরিপ্রার্থীর চাকরি দেবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করায় তাদের ভাগ‍্য অনিশ্চিতার মধ্যে।

Related Articles

Back to top button
error: