![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2020/09/ramnath-kovind7859695867689553750..jpg)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আজ সংসদের বাজেট অধিবেশন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ দিয়ে শুরু হয়। সম্বোধনের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গত বছর আশা করোনা সংকট, সীমান্তে উত্তেজনা সহ বেশ কয়েকটি সংকটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এতগুলি সংকট সত্ত্বেও দেশ দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিস্পর্ধা যতই বড় হোক না কেন না আমরা থামবো, না ভারত থামবে।
এদিন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও করুণায় সংক্রমিত হয়ে মৃত ৬ সংসদ সহ দেশের অন্যান্য প্রয়াত নাগরিকদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ করোনা সংকটকালে সরকারের বিভিন্ন কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি আত্মনির্ভর ভারতের মন্ত্রকে অগ্রসর করে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেন, “অনেক পর্যালোচনার পর সংসদ সাত মাস আগে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি সংস্কার, কৃষি পণ্যের ব্যবসা ও বাণিজ্য (প্রচার এবং সরলীকরণ) বিল, কৃষি (ক্ষমতায়ন এবং সুরক্ষা) মূল্য আশ্বাস এবং কৃষি পরিষেবা চুক্তি বিল, এবং প্রয়োজনীয় পণ্য সংশোধনী বিল পাস করেছে। এই কৃষি সংস্কারের সবচেয়ে বড় সুবিধা তাত্ক্ষণিকভাবে ১০ কোটিরও বেশি ক্ষুদ্র কৃষক পেতে শুরু করেছেন। ক্ষুদ্র কৃষকদের এই সুবিধাগুলি উপলব্ধি করে অনেক রাজনৈতিক দল সময়ে সময়ে এই সংস্কারগুলিতে তাদের সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল।”
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেন, “বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই আইনগুলির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছেন। আমার সরকার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে তার আদেশ পালন করবে। বিগত দিনে তিরঙ্গা ও প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো পবিত্র দিবসের অপমান অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যে সংবিধান আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার দেয়, সেই একই সংবিধান আমাদের শেখায় আইন ও নিয়ম সমান গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করা উচিত।”
তিনি আরো বলেন, “আমার সরকার এটা পরিষ্কার করে দিতে চায় যে তিনটি নতুন কৃষি আইন কার্যকর হওয়ার আগে পুরানো ব্যবস্থার অধীনে থাকা অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার কোনও হ্রাস হয়নি। বরং এসব কৃষি সংস্কারের মাধ্যমে সরকার কৃষকদের নতুন অধিকারের পাশাপাশি নতুন সুবিধাও দিয়েছে। কৃষিকে আরও লাভজনক করার জন্য, আমার সরকার আধুনিক কৃষি অবকাঠামোতেও বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে। এর জন্য এক লক্ষ কোটি টাকার কৃষি অবকাঠামো তহবিল শুরু করা হয়েছে।”