রাজ্য

তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক, যুব সভাপতির পদ পেলেন সায়নী ঘোষ, একাধিক রদবদল সাংগঠনিক স্তরে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার সাংগঠনিক বৈঠক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর দুটোয় সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ববি হাকিম, গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই বৈঠক শেষ হলে শুরু হয় জেলা নেতৃত্বের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক। এদিনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তৃণমূলের যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বদলে এবার তৃণমূলের নতুন যুব সভাপতি হলেন অভিনেত্রী শায়নী ঘোষ। অন্যদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের বৈঠকে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বজায় রাখার জন্য দলের নেতা মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ, কোনও মন্ত্রী গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার করতে পারবেন না। দলনেত্রী বলেন, দুর্নীতিতে যেন কারও নাম না জড়ায়। কয়লা, বালি পাচার নিয়ে দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ না ওঠে। দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে হবে, কোনও অভিযোগ যেন না ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন তখন যা খুশি বলা যাবে না। এদিন ফেসবুক লাইভ নিয়ে মদন মিত্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন বৈঠকে দলে এক নেতা এক পদ কার্যকর করার কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

তৃতীয় বার সরকারে আসার পর বড়সড় রদবদল করা হয়েছে সাংগঠনিক স্তরে। শ্রমিক সংগঠনের (আইএনটিটিইউসি) সভাপতি জয়েছেন ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। পূর্ণেন্দু বসুকে খেত-মজুর সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে। তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সভাপতি হলেন রাজ চক্রবর্তী। বঙ্গ জননী সভাপতি হলেন মালা রায়। সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন দোলা সেন। রাজ্য সম্পাদকের পদ পেলেন সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। এর পাশাপাশি ৯টি জেলায় দলীয় সভাপতি পদে বড় রদবদল করা হয়েছে। রাজ্যে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একমাসের মধ্যে জেলা সংগঠনের রদবদল হবে এবং তা স্বয়ং করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন বিজেপি থেকে দলে ফিরতে চাওয়া নেতা নেত্রীদের বিশাওয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন সৌগত রায়। এ নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

Related Articles

Back to top button
error: