রাজ্য

শুভেন্দুর হাত ধরেই এসেছিলেন তৃণমূলে, অভিষেকের বৈঠকে মৌসমের গরহাজির নিয়ে জল্পনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, মালদা: শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের সাথে এই মুহূর্তে যথেষ্ট সরগরম মালদা জেলা রাজনীতিও। শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ত্যাগের পর মালদার জেলা নেতৃত্বকে কলকাতায় জরুরি তলব এবং সেই বৈঠকে জেলা সভানেত্রী মৌসম নূরের অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। আর এরকম একটা আবহের মধ্যে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এ দেখা গেল দাদার অনুগামীদের পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবি এটা বিজেপির চক্রান্ত। পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।

আজ সকালবেলা হরিশ্চন্দ্রপুরের শহীদ মোড়ে বাস স্ট্যান্ডের কাছে এরকম পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারটি নজরে পড়তে পড়তেই ছড়িয়ে পরে চাঞ্চল্য।এই প্রথমবার হরিশ্চন্দ্রপুরে দেখা গেল দাদার অনুগামীদের পোস্টার।যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়ে গেছে জোর চর্চাপ্রশ্ন উঠছে এই পোস্টার কী তালে শুভেন্দু অনুগামীরা দিলেন? যারা দিয়েছেন তারা কী বার্তা দিতে চাইছেন? আর এই সব প্রশ্নকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। অস্বস্তিতে তৃণমূল।

ফজলুল হক নামে স্ট্যান্ডের একজন বাস ড্রাইভার বলেন, ” সকালে এসে পোস্টারটি দেখতে পাই। কে বা করা লাগিয়েছে জানি না। ”

তৃণমূলের মালদা জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, ” এটি বিজেপির চক্রান্ত। পুলিশ এবং দলীয় কর্মীদের বলব কারা এই কাজ করেছে খোঁজ নিতে।শুভেন্দু বাবু তো এখনও দলেই আছেন। তাই এই নিয়ে মুখ খুলব না বেশি। ”

বুলবুল খানের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপি। বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়াল বলেন, ” তৃণমূল একটা লিমিটেড কোম্পানি।যেখানে পিসি,ভাইপো মালিক বাকি সব কর্মচারী।যারা সম্মানের সাথে রাজনীতি ওই দল অতীতেও ছেড়েছে,এখনও ছাড়ছে অনেকেই।বিজেপির কোনো দরকার নেই পোস্টার লাগানোর। এটা শুভেন্দু গোষ্ঠীর লোকেদেরই কাজ হবে হয়তো।”

Related Articles

Back to top button
error: