রাজ্য

অগ্নিমূল্য আলু সহ শাক সবজি, বীরভূমে বাজারে হানা সরকারি আধিকারিকদের

কৌশিক সালুই, টিডিএন বাংলা, বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার কারবারিদের কাছে আবেদন করছেন আলুর শাক সবজির ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করতে। কিন্তু তাতে কোন ফল মিলছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার সরকারি অধিকারীকেরা বীরভূমের বাজারে হানা দিলেন। শনিবার সিউড়ি সদর মহকুমার শাসক খতিয়ে দেখলেন সংশ্লিষ্ট কারবারের কাগজপত্র। ব্যবসায়ীরা কালোবাজারি তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন শাক সবজির দাম আমদানির ওপর নির্ভর করে। খুচরা বাজারে তারা লভ্যাংশ কম করে মাল সরবরাহ করছেন।

আলুর দাম আকাশ ছোঁয়া। আরৎদার থেকে খুচরো বাজারে হানা দিলেন সিউড়ি সদর মহকুমা শাসক রাজিব মণ্ডল এবং কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। এদিন সকালে প্রথমে সিউড়ির পাইকারি নেতাজি মার্কেটে গিয়ে উপস্থিত হন তারা। সেখানে আরৎদারদের কাছে আলু এবং অন্যান্য শাকসবজির ক্রয় মূল্য খতিয়ে দেখেন। সেখান থেকে তাঁরা যান সিউড়ি শহরে সাঁইথিয়া বাইপাস এলাকায় থাকা খুচরো সবজি বাজারে। সেখানে দাম সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন তাঁরা।
কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় আলুর দাম বিভিন্ন চিন্তায় তাতেই হতবাক হন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। যেমন, নেতাজি মার্কেটে আলুর পাইকেরি বাজারে ৫০ কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩৬০ টাকা দরে। সেখানে টিনবাজার এলাকার আরৎদারের কাছে আলু বিক্রি হয়েছে ১৩৯৫ টাকা দরে। স্বাভাবিকভাবেই দামের হেরফের হয়। এরপরেই ওই আরৎদারের কাছে উপস্থিত হন প্রশাসনিক আধিকারিকরা কিন্তু ওই আরৎদার হিমঘরের কাগজ দেখানোর পরে তাঁরা অবাক হন।
তাহলে দামের এত হেরফের কেন?
আরৎদারদের একাংশ বলছেন, হিমঘরে আলুর দাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম নিচ্ছে। প্রশাসন বলছে ঠিকই কিন্তু হিমঘর থেকে প্রশাসনের নির্ধারিত দরে আলু মিলছে না। মূলত হিমঘর থেকে সরাসরি আলু বিক্রি করা হয় না। মাঝে একশ্রণির মানুষ লাভ নেন। যার জন্য দামের এই হেরফের।
সিউড়ি পাইকারি বাজার নেতাজি মার্কেট এর সম্পাদক সুজিত কুমার সাউ বলেন,” আমরা আলু ৫০ কেজি প্রতি ১৫ টাকা লাভে খুচরা বাজারে বিক্রি করছি। হিমঘর থেকে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে আমাদের। সেটা যদি প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে দাম মানুষের নাগালেই থাকবে”।
সদর মহকুমা শাসক রাজীব মন্ডল বলেন,” শাকসবজি অগ্নিমূল্য কারণে শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে দুটি বাজারে আমরা গিয়েছিলাম। পাইকারি বাজারে তাদের আমদানিকৃত শাকসবজির কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছি। আলু বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে। চড়া দামে পাইকারি বিক্রেতারা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। হিমঘর থেকেই দাম নিয়ন্ত্রণ এর ব্যবস্থা করা হবে”।

Related Articles

Back to top button
error: