Highlightরাজ্য

১৩৪ টি বাঁধ ভেঙেছে, ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, বাঁধ রক্ষার্থে তৈরী করা হয়েছে টাস্ক ফোর্স; জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শেষ হয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ল্যান্ডফল চকরিয়া। ইতিমধ্যেই ইয়াসের প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা বাংলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিশাল অংশ। আশ্রয়হীন হয়েছেন বহু মানুষ। বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাই টাইড’-এর সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে জলস্তর ৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হবে। ওই জলস্তর দুদিন ধরে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিনের গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিকদের সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে মোট এক কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আগামী শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে মেদিনীপুরে যাবেন তিনি।

এদিন ইয়াসের প্রভাবে বাংলায় হওয়া ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গে নবান্নে আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গেছে। মানুষসমান উঁচু ঢেউ উঠেছে। ১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।” একই সাথে ভরা কোটাল সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি আরো বলেন,”ভরা কোটালে ঘূর্ণিঝড় বলেই বেশি ক্ষতি। অনেক গ্রামে জল ঢুকে গেছে। রাত ৮.৪৫ পর্যন্ত জোয়ার চলবে। তারপর ক্রমশ নামবে জলস্তর।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন,”দক্ষিণ ২৪ পরগনায়র বহু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলকাতার কালীঘাট, চেতলা, রাসবিহারীতে জল উঠেছে। নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় কৃষির ক্ষতি হয়েছে। মৎস্যচাষেরও ক্ষতি হয়েছে।”

আগামীকাল ভরা কোটালের সময় প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আগামীকালও বানের জল ঢুকতে পারে। সেজন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে হবে। কোটাল এলে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তড়িদাহত হওয়ার ঘটনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।”

এছাড়া নদীবাঁধ রক্ষাণাবেক্ষণের কাজে বিশেষ টাস্কফোর্স তৈরি করার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আরও জোর দিতে হবে। নদীবাঁধ ক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি হবে। গাছ লাগিয়ে বাঁধকে শক্তিশালী করায় জোর।” তিনি আরো বলেন,”লবণাক্ত জমিতে নোনা স্বর্ণ ধান চাষ করতে হবে। নোনা জলের মাছেরও চাষ করতে হবে। কপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হবে।” একইসাথে পানীয় জলের সরবরাহ বজায় রাখার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। পরিশ্রুত পানীয় জলের সরবরাহ বজায় রাখতে হবে।”

Related Articles

Back to top button
error: