‘অগ্নিপথ’ ইস্যুতে ‘অগ্নিগর্ভ’ দেশ, বিক্ষোভে সামিল বাংলাও, দিকে দিকে স্টেশন অবরোধ, চরম দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: পয়গম্বর অবমাননার জেরে দেশজুড়ে চলেছে বিক্ষোভ অবরোধ। উত্তরপ্রদেশে যোগীর বুলডোজার বিতর্কে এখনও দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। উভয় ঘটনাতেই একাধিক মামলা চলছে বিভিন্ন আদালতে। এরই মধ্যে আবারও ‘অগ্নিপথ’ ইস্যুতে ‘অগ্নিগর্ভ’ দেশ। বিক্ষোভ-অবরোধ বিপর্যস্ত জনজীবন। আর বৃহস্পতিবার থেকেই এই ইস্যুতে দেশের একাধিক প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। এবার সেই ‘অগ্নিপথ’-এর ক্ষোভের আঁচ এসে লাগলো এ রাজ্যেও। বৃহস্পতিবার যা শুধু উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়ায় দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকেই তা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। একাধিক স্টেশনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ঠাকুরনগর, ভাটপাড়া-সহ বেশ কিছু স্টেশনে আটকে দেওয়া হয়েছে ট্রেন। এমনকি কলকাতায় হাওড়া ব্রিজের উপরেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেনাবাহিনীর চাকরিপ্রার্থীরা। যার জেরে ব্যস্ত সময়ে চরম দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। বিক্ষোভের জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যদিও রেল পুলিশের তৎপরতায় পরে উঠে যায় অবরোধ।

কিন্তু কেন বিক্ষোভ? কি আছে এই ‘অগ্নিপথ’ প্রক্লল্পে।

আসলে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য সম্প্রতি ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের আওতায় ৪ বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগ করা হবে। মেয়াদ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ২৫ শতাংশকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত করে বাকি ৭৫ শতাংশ কে বাদ দেওয়া হবে। মেয়াদ শেষে ওই অগ্নিবীররা নিজেদের ‘প্রাক্তন সেনাকর্মী’ বলে উল্লেখও করতে পারবেন না। পাবেন না পেনশন কিংবা গ্র্যাচুইটির সুবিধাও। আর এখানেই দেখা দিয়েছে সমস্যা। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘চার বছরের জন্য নিয়োগ করবে। প্রথম মাসে ৩০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বছরে ৩৩ হাজার, তৃতীয় বছরে ৩৬ হাজার, চতুর্থ বছরে দেবে ৪০ হাজার টাকা। তার পর ১১ লাখ ৭১ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। আমরা কি কোনও বিদেশে কাজে যাচ্ছি না কি?…যারা দেশের জন্য প্রাণ দিচ্ছে, তাদের জন্য এই সুবিধা!’’