টিডিএন বাংলা ডেস্ক : মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর আর্থার রোড জেলে আরিয়ান। ঠিক আর পাঁচটা বন্দির মতো। অন্যান্য বন্দির মতো জেল আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বাবা-মাকে ১০ মিনিটের জন্য ভিডিও কল করার সুযোগ পেয়েছিলেন আরিয়ান। সূত্রের খবর, জেলের ফোন থেকে বাবা-মা’র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। ছেলেকে কাঁদতে দেখে নিজেদের বেঁধে রাখতে পারেননি শাহরুখ-গৌরীও। একই অবস্থা হয় তাদেরও। জেল ক্যান্টিনের খরচ বাবদ মানি অর্ডারে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পাঠাতে পেরেছেন শাহরুখ-গৌরী। বন্দিদের সর্বোচ্চ এই টাকা পাঠানোর অনুমতি রয়েছে। আপাতত সেইটুকুই আরিয়ানের সম্বল। এদিকে এই গ্রেফতারি নিয়ে এনসিবি ও এনসিপির তরজা জারি রয়েছে। এনসিপি নেতা নবাব মালিকের দাবি, নিজেদের পরিচিত লোককে মাদক মামলায় সাক্ষী বানাচ্ছেন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। অন্যদিকে এনসিবি সূত্রে দাবি, শাহরুখপুত্র নাকি সমীর ওয়াংখেড়েকে কথা দিয়েছেন তিনি দুস্থ মানুষের জন্য কাজ করবেন। তার ভালো কাজ দেখে একদিন গর্বিত হবেন এনসিবি আধিকারিক। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে প্রশ্ন তুলেছেন, মাদক শুধু মহারাষ্ট্রেই আটক হচ্ছে? মুন্দ্রা বন্দরে তো কত কোটির মাদক আটক হলো। এনসিবি ব্যস্ত শুধু সেলিব্রেটিদের ধরে ছবি তুলতে!”