![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2023/08/Himachal.jpg)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের সকালে লাল কেল্লা থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাহাড়ি রাজ্যগুলির পরিস্থিতিকে তিনি ‘অকল্পনীয় সঙ্কট’ বলে উল্লেখ করেছেন। যাঁরা এই দুর্যোগে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার থেকে শুরু হওয়া তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল। পরপর দুবার প্রকৃতির রোষের মুখে পড়ল হিমাচলপ্রদেশ। একই সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, একজোড়া মৌসুমি অক্ষরেখা এবং ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে রাজ্য। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা বিধ্বংসী ধসে তছনছ হচ্ছে শহরের পর শহর। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে গঙ্গা। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, দোকানপাট। ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে অনেকে। তুমুল বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বাড়ছে। শুধু ওই রাজ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।
এ ছাড়া, উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। অতিবৃষ্টিতে সেখানেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভূমিধসে বন্ধ রাস্তাঘাট। তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ অন্তত ১০ জন। হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশের রাজ্যগুলোর অবস্থানগত কারণে এখানে এমন ঘটনা প্রায় প্রতি বছরই হয়। মৌসম ভবনের রিপোর্ট বলছে, ধরমশালা, কাংড়া, পালামপুর, চাম্বা, হামিরপুর, মান্ডি, কুলু, মানালি, সুন্দরগড়, বিলাসপুর, সোলান, উনা এবং নাহান পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কোনও কোনও জায়গায় ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩৫০-৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে নদীগুলির জলস্তর বেড়ে গেছে। ভাকরা নাঙ্গাল ড্যামের জল ছাপিয়ে গেছে। ফলে পরিস্থিতি আরও করুণ। অন্যদিকে ঘন ঘন ধসের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ে।