সামসেরগঞ্জের তলিয়ে যাওয়া শিশুর দেহ বাংলাদেশের পদ্মায়, জিরো পয়েন্টে হস্তান্তর বিজিবি-বিএসএফের
![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2020/10/tdnba5125142830098836705.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, মুর্শিদাবাদ: গঙ্গায় স্মান করতে গিয়ে নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার প্রায় দু’দিন পর নদীতে ভেসে উঠল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের দুই পড়ুয়ার দেহ। একজনের দেহ নিমতিতার দুর্গাপুর গঙ্গাঘাটে মিললেও অপর পড়ুয়া খাতিজা সুলতানার দেহ মিলে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পদ্মায়। ফলে দেহ উদ্ধার নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। যদিও সোমবার সকাল থেকেই সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামের তদারকি এবং ওসি অমিত ভকত ও বিএসএফ কর্মকর্তাদের
বিশেষ তৎপরতায় বিকেল নাগাদ দেহ হস্তান্তর করে বিজিবি। মূলত জিরো পয়েন্টে এই হস্তান্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে সামসেরগঞ্জের লোহরপুর ঘাটে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ছাত্রী বছর সাতেকের ইয়াসিন মোমিন, বছর আটেকের রওশন শেখ, আট বছরের সাকিবুল ইসলাম, ন’বছরের খাতিজা সুলতানা ও বছর ১৭-এর কায়েমা খাতুন। স্নান সেরে ঘাটে ওঠার সময় কায়েমা দেখে বাকি চারজন তলিয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে স্রোতে তলিয়ে যায় ওই নাবালিকাও। এরপর স্থানীয়দের নজরে বিষয়টি পড়তেই তাঁরাই শুরু করে উদ্ধারকাজ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সেদিনই ৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। যদিও হদিস মেলেনি সাকিবুল ও খাতিজার। তারপরেই শুরু হয় তল্লাশি। কৃষ্ণনগর থেকে নিয়ে আসা হয় ডুবুরিও। কিন্তু তাতেও না মিললেও অবশেষে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে দুর্গাপুর গঙ্গা ঘাটে ভেসে ওঠে সাকিবুলের দেহ। ঠিক কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ সীমান্তে পদ্মায় ভেসে ওঠে খাতিজাও। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ কর্তাদের কাছে খবর আসে। যদিও দেহ মৃতের গ্রামে ফেরানো নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তারপরেই তদারকি শুরু করেন সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় দুই অঞ্চলের প্ৰধানরা। ৭৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। ছুটে আসেন সামসেরগঞ্জের ওসি অমিত ভকত। তিনি বিএসএফ কর্তাদের সাথে আলোচনা করে ও তাদের সঙ্গে বোটে জিরো পয়েন্টে যান। কথা হয় বিজিবি কর্তৃপক্ষ ও বিএসএফের উচ্চ পদস্থ অফিসারদের মধ্যে। অবশেষে বিকেল নাগাদ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। দুদিন পর হলেও মেয়ের দেহ ফেরত পেয়ে স্বস্তিতে পরিবার।