টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, পাঞ্জাব এবং মনিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে গুজরাট বিধানসভার নির্বাচনও আছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের হারকে মাথায় রেখে এখন থেকেই নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। ইংরেজি সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার দলের সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে নিজের বাসভবনে ৫ ঘন্টা ধরে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই বৈঠকে এবছরের নির্বাচনে হওয়া পরাজয় থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ফলাফলে জয় বা পরাজয় যেটাই হোক না কেন দলের পারফরম্যান্স কেমন ছিল তা খতিয়ে দেখা উচিত। এমনকি বাংলায় বিজেপির পরাজয়ের পর তৃণমূলের কাছ থেকেও শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯ সালেরলোকসভা নির্বাচনে কিভাবে দল ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ বাড়ানোরও পরামর্শ দেন নরেন্দ্র মোদি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেরল এবং তামিলনাড়ুতে বিজেপির পারফরম্যান্স নিয়েও আলোচনা করেন। কেরলে দলকে আরও বেশি করে অহিন্দু সম্প্রদায়গুলির সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করার দিকে জোর দিতে বলেন। এ প্রসঙ্গে ইসাই সম্প্রদায়ের মানুষদের বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ করার বিষয়ে জোর দেন মোদি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবারের ওই মিটিং চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনাকালে পরিচালিত “সেবাই সংগঠন ২.০” কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, শিব প্রকাশ, অরুণ সিং, সিটি রবি, ডি পুরান্ডেশ্বরী, দিলীপ সাইকিয়া, তরুণ চুঘ, দুশায়ন্ত গৌতম, কৈলাশ বিজয়বর্গিয় এবং ভূপেন্দ্র যাদব।