রাজ্য

মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আসাম ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: আগামী নভেম্বর মাস থেকে অসমে মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে
কলকাতার অসম ভবন ঘেরাও বিক্ষোভ-কর্মসূচি ও ডেপুটেশন প্রদান করলো সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। আজ এই কর্মসূচিতে সামিল হন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অসম ভবনেরকার্য্কর্তার উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ জানান,” আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত মাদ্রাসা ও টোলগুলিকে তুলে দেওয়ার যে ঘােষনা দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি । সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিজস্ব সংস্কৃতি সুরক্ষিত করতে কয়েক’শ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হাজার হাজার মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছে । মাদ্রাসা শিক্ষা এদেশের ঐতিহ্য ও অহংকার। বহু মনিষী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী তৈরী করেছে এই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। স্বাধীন দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ থেকে ঐতিহাসিক স্যার সৈয়দ আহমেদ সকলেই মাদ্রাসার ছিলেন । এমনকি রাজা রামমােহন রায়ও মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন । আমাদের পবিত্র সংবিধানের ৩০ ধারায় ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের পছন্দমত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার ও পরিচালনার অধিকার দিয়েছে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় একই সুযােগ সুবিধা এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে সাহায্য করতে সরকার বাধ্য থাকবে। এজন্য খ্রিষ্টান পরিচালিত , মুসলিম পরিচালিত বহু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলি সংখ্যালঘু মর্যাদা প্রাপ্ত এবং সরকার শিক্ষকদের বেতন দিয়ে আসছে। আর মাদ্রাসাগুলিতে অমুসলিম বাচ্চারাও পড়াশুনা করে । তাছাড়া মাদ্রাসাগুলি দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের শিক্ষাঙ্গণে তুলে আনতে বড় ভূমিকা পালন করে এসেছে। আমরা মনে করি ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার এই প্রস্তাব সংবিধান ও দেশের সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ বিরােধী। আপনাদের দল দেশজুড়ে যে মেরুকরণের রাজনীতি করছে, আপনার সরকারের মাদ্রাসা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সেই বিদ্বেষপূর্ণ রাজনীতির অঙ্গ। সংঠনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, মাদ্রাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বশাসিত বোর্ড অবিলম্বে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি অন্যন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো সকল সুযোগ সুবিধা মাদ্রাসা গুলোকে দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

Related Articles

Back to top button
error: