HighlightNewsদেশ

নীতি আয়োগের সভায় যাবেন না কেজরিওয়াল: ভগবন্ত মান এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরও করবেন বয়কট

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্রের অধ্যাদেশের প্রতিবাদে শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নীতি আয়োগের সভায় অংশগ্রহণ করবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই বিষয়ে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন কেজিওয়াল। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশের মানুষই কেন্দ্রের অধ্যাদেশের তীব্র বিরোধিতা করছে। জনগণ প্রশ্ন করছে, প্রধানমন্ত্রী যদি সুপ্রিম কোর্টকে পর্যন্ত না মানেন, তাহলে বিচারের জন্য আমরা কোথায় যাব?কেজরিওয়াল আরও লিখেছেন, সংবিধানকে প্রকাশ্যে উপহাস করা হলে সভায় যোগ দেওয়ার কোনও মানে নেই।
জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওও বৈঠক বয়কট করবেন। আগামীকাল কেজরিওয়াল ও কেসিআরও সাক্ষাত করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট ১১ মে নির্দেশ দিয়েছিল যে, দিল্লিতে অফিসারদের বদলি-পোস্টিং অধিকার দিল্লি সরকারের কাছে থাকবে। এর পরে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি অধ্যাদেশ এনে এই অধিকারগুলি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হতে সঁপে দেয়। কেজরিওয়াল এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করছেন এবং বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন।

কেজরিওয়াল চিঠিতে লিখেছেন, গত কয়েক বছরে, অ-বিজেপি সরকারগুলিকে পতন করা হচ্ছে বা কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা আমাদের দেশের ভিশন নয়।
কেজরিওয়াল চিঠিতে আরো লিখেছেন, একটি রাজ্যের জনগণ যদি একটি অ-বিজেপি সরকার নির্বাচন করে, বিজেপি সেই সরকারকে পতনের জন্য ৩টি উপায় অবলম্বন করে। প্রথমে, তাদের বিধায়কদের কিনে নেয়। দ্বিতীয়, ইডি এবং সিবিআই-এর শক্তি দেখায়। তৃতীয়, অধ্যাদেশ আনা, যাতে নির্বাচিত সরকার তার কাজ করতে না পারে।

কেজরিওয়াল চিঠিতে লিখেছেন, ৮ বছর লড়াইয়ের পরে, দিল্লির মানুষ সুপ্রিম কোর্টের লড়াইয়ে জিতেছিল। এরপর মাত্র ৮ দিনের মধ্যে আপনি একটি অধ্যাদেশ এনে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ উল্টে দিলেন। আজ দিল্লি সরকারের কোনো কর্মকর্তা কাজ না করলে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত দিল্লি সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।
কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, সরকার কীভাবে এভাবে কাজ করবে? দিল্লি সরকারকে সম্পূর্ণ দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। এটাই কি দেশের ভিশন? এটাই কি সমবায় ফেডারেলিজম?

Related Articles

Back to top button
error: