HighlightNewsদেশ

মন্দিরে মাইক বাজিয়ে ধর্মীয় গান শোনানোর দোষে পড়শীকে পিটিয়ে খুন আহমেদাবাদে, গ্রেফতার পাঁচ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: একদিকে যখন মহারাষ্ট্রের এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে সে রাজ্যের সরকারকে মসজিদের মাইকের ব্যবহার বন্ধ না করলে মসজিদের সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করার হুমকি দিচ্ছে, সেই আবহে মন্দিরে মাইক বাজিয়ে ধর্মীয় গান শোনানোর অপরাধে পিটিয়ে খুন করা হলো পড়শীকে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের মেহসানা জেলায়। অভিযোগ, ঈদের দিন বাড়ির মন্দিরে পুজো হওয়ার সময় মাইকে ধর্মীয় সংগীত বাজানোর অপরাধে পড়শীকে পিটিয়ে খুন করল প্রতিবেশী। এই ঘটনায় ছয় অভিযুক্তের মধ্যে বৃহস্পতিবার ৫জনকে গ্রেফতার করেছে লঙ্ঘনাজ থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঈদের দিন বাড়ির মন্দিরে পুজো করছিলেন মেহসানার মুদারদা গ্রামের বাসিন্দা যশোবন্ত ঠাকুর এবং তার দাদা অজিত ঠাকুর। সেইসঙ্গে মাইকে ধর্মীয় সংগীত বাজানো হচ্ছিল। সেই আওয়াজ শুনে প্রতিবেশী ৬ অভিযুক্ত লাঠিসোটা নিয়ে তাঁদের ওপরে হামলা করে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় যশোবন্ত ঠাকুরের।

লঙ্ঘনাজ থানার সাব-ইন্সপেক্টর এবি চাবরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,”সদাজি ঠাকুর সহ গ্রামের ৬ জনের বিরুদ্ধে যশোবন্ত ঠাকুর এবং অজিত ঠাকুরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ৪ মে এই অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।” লঙ্ঘনাজ থানায় যশোবন্তের পরিবার অভিযোগ করেছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো শুরু হয়। সে সময় মাইক বাজিয়ে নাম কীর্তনও করা হচ্ছিল। গ্রামের পাঁচজনের সঙ্গে মিলে তাতে বাধা দেন সদাজি। মাইকের আওয়াজ কম করার দাবিতে বচসা শুরু হয়। যশোবন্তের পরিবারের দাবি তাদের বাড়িতে মাইক সেরকম জোরে বাজানো হচ্ছিল না যাতে অন্য প্রতিবেশীদের অসুবিধা হতে পারে।

অভিযোগ, দুপক্ষের মধ্যে মাইকের আওয়াজ কম করা নিয়ে চলতে থাকা বাক-বিতণ্ডার মধ্যেই যশোবন্ত ও তার দাদা অজিত ঠাকুরের ওপরে লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হন সদাজি এবং তার সঙ্গীরা। দুই ভাইকে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে উদ্ধার ক’রে দুই ভাইকে মেহসানা সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করে। যশোবন্তের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে আহমেদাবাদ সিটি হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যশোবন্তের দাদা অজিত ঠাকুরের একটি হাত মারের চোটে ভেঙ্গে গেছে বলে জানা গিয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: