HighlightNewsদেশ

“রাহুল গান্ধী যা বলেন তার ওপর ওনার দলই কোন গুরুত্ব আরোপ করে না, দেশের মানুষের তো কোন প্রশ্নই ওঠে না”; কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রাহুল গান্ধী যা বলেন তার ওপর ওনার দলই কোন গুরুত্ব আরোপ করে না, দেশের মানুষের তো কোন প্রশ্নই ওঠে না।উত্তরপ্রদেশের ভারতীয় কৃষক সেনা সদস্যদের সাথে সাক্ষাতের পরকংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে এমনটাই বলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। শুধু তাই নয়, ভারতীয় কিষান সেনা কৃষি আইন কে সমর্থন করছে জানিয়ে পাল্টা কংগ্রেসের ওপর আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের চরিত্র সবসময়ই কৃষি বিরোধী ছিল।

এদিন ভারতীয় কিষান সেনা সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন,”রাহুল গান্ধী যা বলেন, তা কংগ্রেস নিজেই গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেনা তাহলে দেশের তো কোন প্রশ্নই ওঠে না। আজ যখন তিনি রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের কাছে নিজের বিরোধিতার কথা জানাতে যান তখন আমি এই সমস্ত কৃষক সংগঠনের সদস্যদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানিয়েছেন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেউ তাদের কাছে স্বাক্ষর গ্রহন করাতে আসেননি এবং কোন কৃষকরাই স্বাক্ষর করেননি।”

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন,”যদি রাহুল গান্ধী এতটাই কৃষকদের জন্য চিন্তিত ছিলেন তাহলেযখন তাদের সরকার ছিল তখন সেই সরকারের মাধ্যমে কিছু-না-কিছু কৃষকদের জন্য করতে পারতেন। কংগ্রেসের সর্বদায় কৃষক বিরোধী চরিত্র ছিল।”

শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে কংগ্রেসের ঘোষণাপত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন,”এই তিনটি বিলের সম্বন্ধে রাহুল গান্ধী ২০১৯-এর ঘোষণাপত্রে বলেছিলেন, আমরা যদি সরকারে আসি তাহলে এপিএমসি শেষ করব, করমুক্ত ভাবে কৃষকের ফসল কেনাবেচা হোক এই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করব, কনট্রাক্ট ফার্মিংকে অগ্রাধিকার দেবো এবং এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্টকে শেষ করে তাকে নতুন ভাবে তৈরি করা হবে। এবার আমি রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে ২০১৯ সালেআপনি যখন ঘোষণাপত্র জারি করেছিলেন সেই সময়ে মিথ্যে বলছিলেন না এখন মিথ্যে বলছেন তা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা উচিত।”

প্রসঙ্গত, আজ কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অধীর চৌধুরী এবং গুলাম নবি আজাদ দু’কোটি স্বাক্ষর সহ পত্র জমা দেন। এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষকরা কিছুতেই হঠবেন না, প্রধানমন্ত্রী ভাববেন না যে, কৃষক-শ্রমিকরা ঘরে ফিরে যাবেন।

রাহুল গান্ধী বলেন,”আমরা তিনজন রাষ্ট্রপতির কাছে কোটি কোটি স্বাক্ষর নিয়ে গিয়েছিলাম। এটাই দেশের কণ্ঠস্বর।শীতের সময়, কৃষকরা আন্দোলন করছেন এবং মরে যাচ্ছেন। আজ আমি অগ্রিম বলে রাখছি, কোন শক্তি কৃষক ও শ্রমিকের সামনে রুখে দাঁড়াতে পারে না। আইন যদি প্রত্যাহার না করা হয় তবে কেবল আরএসএস এবং বিজেপির নয়, দেশেরও ক্ষতি হতে চলেছে।”

তিনি আরো বলেন,”নরেন্দ্র মোদির একটাই লক্ষ্য দু চারজন বড় পুঁজিপতিদের জন্য অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া। যারা মোদীজীর বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ান তাদের সম্বন্ধে কিছু না কিছু বলতে থাকেন। কৃষকদের আতঙ্কবাদী বলছে, কাল মোহন ভাগবত যদি তার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ান তাহলে তাকেও আতঙ্কবাদী বলে দেওয়া হবে।”

এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাহুল গান্ধী জানান, এই কৃষি আইন কৃষক বিরোধী, এই আইনের ফলে কৃষক এবং শ্রমিকদের ক্ষতি হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন যে কৃষকরা এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।প্রধানমন্ত্রীর এটা ভাবা উচিত নয় যে কৃষকরা ফিরে যাবেন, তারা যাবেন না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত যৌথ অধিবেশন ডেকে আইন প্রত্যাহার করা। এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন,”প্রধানমন্ত্রীর বোঝা উচিত যে প্রত্যেকটি জিনিসের একটি সীমা হয়। আমি আবারো বলছি, যেভাবে নরেন্দ্র মোদী আচরণ করছেন তাতে ভারতের কোন যুবকেরাই রোজগার পাবেন না, সমস্ত মিডিল ক্লাস রোজগার শেষ হয়ে যাবে। ভারতে কোন গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র শুধুমাত্র কল্পনায় থাকতে পারে, বাস্তবে গণতন্ত্র নেই।”

Related Articles

Back to top button
error: