টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রাজ্যের মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার। রবিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিষয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন অশোকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে এহেন শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত বলেছেন,”অসম সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের আবেদনের ভিত্তিতে এই শংসাপত্র তৈরি করছে রাজ্য সরকার।”তিনি আরো বলেন,”এর ফলে সহজে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করা যাবে। তাদের জন্য একাধিক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে, আলাদা দপ্তর রয়েছে। কিন্তু কারা সংখ্যালঘু? এবার চিহ্নিত করে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যাবে।”যদিও কিভাবে এই সংখ্যালঘু বাছাই করা হবে তা এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানিয়েছেন কেশব মহন্ত।
সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি হাবিব মহম্মদ চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন,”এটা আমাদের বহুদিনের দাবি ছিল। সরকারি ভাতা, ছাত্রদের অনুদান পেতে অসুবিধা হচ্ছিল। বহু ছাত্র সংখ্যালঘু চিহ্নিতকরণের অসুবিধার কারণে অনুদান পাননি। এবার সেই সমস্যার সমাধান হবে।” উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী অসমের মোট জনসংখ্যার ৬১.৪৭ শতাংশ হিন্দু, ৩৪.২২ শতাংশ মুসলিম, ৩.৭৪ শতাংশ খ্রিস্টান এবং এক শতাংশেরও কম মানুষ বৌদ্ধ ও জৈন সম্প্রদায়ের।
এহেন অসমের হাত ধরেই বেশি প্রথমবার ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে শংসাপত্র তৈরি হতে চলেছে। বর্তমানের শুধুমাত্র তপশিলি জাতি উপজাতি এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণীকেই শংসাপত্র দেওয়া হয়। তবে সংখ্যালঘুদের জন্য সমস্ত রাজ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্রের বহু কল্যাণ মূলক প্রকল্প রয়েছে। সেই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে আলাদা করে ধর্মীয় শংসাপত্র লাগে না।