HighlightNewsদেশ

গুরগাঁওয়ে জুম্মার নামাযের জায়গা দখল করে যজ্ঞ স্থানীয় কট্টর হিন্দুদের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : আবারও গুরগাঁওয়ে মুসলিমদের জুম্মার নামাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বি একটি শ্রেনীর বিরুদ্ধে। মোহাম্মদপুর ঝাড়সা, খন্ডসা, নরসিংহপুর এবং খাটোলা গ্রামের সেক্টর ৩৭ থানার কাছে নির্ধারিত নামাযের স্থান দখল করে যোগ্য শুরু করে একটি গোষ্টি। যদিও তারা জানায় ২৬ /১১ শহীদদের স্মরণ করতে তাঁরা এখানে মিলিত হয়েছে। এর আগে নামাযের বিরোধিতা করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্থানীয় কয়েকজন স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বলে জানাগিয়েছে।

এদিন মুসলিমরা যথারীতি প্রতি শুক্রবারের ন্যায় নামাজ পড়তে মাঠে জড়ো হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে এই আশংখায় তারা নামাজ না পড়েই চলে যেতে শুরু করে। তবে মুসলিম একতা মঞ্চের চেয়ারম্যান শেহজাদ খানের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ জনের একটি দল শেষ পর্যন্ত যেখানে জজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরে প্রার্থনা করে। নামায শেষে শেহজাদ খান বলেন, “কিছু লোক শহরের সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অথচ যেখানে নামায হয়েছিল সেই জায়গাটি প্রশাসনই ঠিক করে দিয়েছিল।তারপরও কিছু গোষ্ঠী নামাযে বিঘ্ন ঘটাতে এমন কৌশল অবলম্বন করছে।”

যজ্ঞের আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম খন্ডসা গ্রামের ব্যবসায়ী অবনীশ রাঘব এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা প্রশাসনের কারও সাথে সরাসরি কথা বলিনি। আমাদের গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু লোক ডিসিকে স্মারকলিপি দিয়েছিল। মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা এখানে একটি পূজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা প্রতি বছর এটা করি। এর আগে আমরা মোহাম্মদপুর ও নরসিংপুর গ্রামে কড়তাম। এখন, আমরা এখানে খান্ডসায় করছি। এই গ্রামের অন্য কোথাও পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় আমরা এই নির্দিষ্ট জায়গাটি বেছে নিয়েছি। নামাযের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এই এলাকাটি শিল্প কেন্দ্র। মানুষের এখানে রাস্তায় নামায পড়া উচিত নয়। এখানে একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। আমি বলছি না যে এখানে যারা আসে তারা সবাই অসামাজিক, তবে এটা খতিয়ে দেখতে হবে।”

Related Articles

Back to top button
error: