টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ভারতের প্রতিটি রাজ্যে প্রতিনিয়ত দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষনের মত ঘটনা। ধর্ষন রুখতে কঠোর আইন বা পুলিশি সক্রিয়তা স্বত্বেও কোনো মতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না ধর্ষনের এই বৃদ্ধির হার। এই পরিস্থিতিতে এবার নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষনের মত ঘটনা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে লিভ-ইন সম্পর্ককেই দায়ী করলো মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। যদিও লিভ-ইন সম্পর্ক বা লিভ টুগেদার বা বিবাহ ছাড়াই একসঙ্গে বসবাসের অনুমতি রয়েছে ভারতে।
জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের বিচারপতি সুবোধ অভয়ঙ্করের এজলাসে চলা একটি যৌন নির্যাতনের মামলার রায় দানের সময় এই সব কথা বলেন তিনি। এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ২৫ বছর বয়সী ব্যক্তির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন। মামলার প্রতিবেদন ও নথি থেকে জানা যায়, অভিযোগকারী নারী দুইবারের বেশি গর্ভবতী হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের চাপে পরে ভ্রূণের গর্ভপাত করতে বাধ্য হন তিনি। যখন তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, তখন ওই নারী সঙ্গে অন্য একজনের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু তাঁর সেই প্রাক্তন লিভ-ইন পার্টনারের ব্ল্যাকমেইলের কারণে ওই নারীর বিয়ে বাতিল হয়ে যায়।