![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2022/06/nupur-sharma-nabin-jindal.jpg)
![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2021/05/md-Nuruddin-150x150.jpg)
মুহাম্মাদ নূরুদ্দীন: ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় তৎকালীন প্রবক্তা নুপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালের কয়েকটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদের মাধ্যমে নিন্দার ঝড়। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক স্তরে মুসলিম প্রধান দেশগুলি চাপ বাড়িয়েছে ভারতের উপর। দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। কোথাও কোথাও তা হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে ঝাড়খন্ডে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে দুজনের। দেশজুড়ে আহত মানুষের সংখ্যা অনেক। উত্তরপ্রদেশে প্রতিবাদী ছাত্রী ফাতেমা শারমিনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা দরকার কেন এমন হচ্ছে। শান্তি ফেরাতে শান্তিকামী মানুষের কি করা দরকার তা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ এর প্রয়োজন আছে।
কী বলেছিলেন নুপুর:
নুপুর শর্মা তখন ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় মুখপাত্র। ২৬ মে ২০২২ টাইমস নাউ আয়োজিত একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বিষয় ছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদ ও শিবলিঙ্গ প্রসঙ্গ। সেই আলোচনায় স্বভাবসিদ্ধভাবে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বিষোদগার করতে গিয়ে তিনি পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদ সম্পর্কে অশালীন কথা বলেন। শৈশবে মাত্র ছয় বছর বয়সে হযরত মোহাম্মদ স: কর্তৃক আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বিবাহ করা এবং তার বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে তিনি তীব্র কটাক্ষ করেন। অল্ট নিউজ নামে একটি ফ্যাক্টস চেকিং ওয়েবসাইটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জুবায়ের এই পোস্টটিকে শেয়ার করেন। যার ফলে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। নুপুর শর্মা প্রাথমিকভাবে দাবি করেন তার বক্তব্য এডিট করা হয়েছে। অল্ট নিউজ কর্তৃপক্ষ তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। ২০টির বেশি দেশ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাঁচ জুন ভারতীয় জনতা পার্টি নুপুর শর্মাকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করে। নুপুর শর্মা দুঃখ প্রকাশ করলেও নীতিগতভাবে তার বক্তব্যে অনড় থাকেন। এতে বিজেপি দলের অভ্যন্তরে মুকুল শর্মা বীর শহীদের মর্যাদা পায়।
মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া
বিশ্বে প্রতিনিয়ত বড় বড় ঘটনা ঘটছে। যুদ্ধ-বিগ্রহ তো লেগেই আছে। বিশেষ করে বিগত কয়েক শতাব্দি জুড়ে মুসলিম মিল্লাতের উপর ঝড় কম যায়নি। সাম্প্রতিককালে মায়ানমারে মুসলিমদের উপর নির্মম উচ্ছেদ অভিযান। চীনে উইঘুর মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা। আমাদের দেশে এনআরসির নামে কোটি কোটি মুসলমানকে বেনাগরিক করে দেওয়ার সরকারি পরিকল্পনা, এমনকি গুজরাট দাঙ্গা, বাবরি মসজিদ ধ্বংস ইত্যাদি ঘটনার পরও ওই সকল দেশ তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু নুপুর শর্মার বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্য যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তার নানান প্রেক্ষিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রথমত মুসলিম সমাজ ভাবছে মুসলিম দুনিয়া আগের থেকে বেশি সচেতন হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতে যেভাবে শাসক দলের পক্ষ থেকে বিদ্বেষ ছড়িয়ে মেরুকরণ করা হচ্ছে তা মোটেই ভাল চোখে নেয়নি এই সকল দেশ। নুপুর শর্মার বক্তব্য শুধু উত্তপ্ত বারুদে অগ্নিসংযোগ করেছে মাত্র। এছাড়া ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্বে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলির উপর আমেরিকার প্রভাব শিথিল হয়েছে। স্বাধীন মতামত জানানোর ক্ষেত্রে এটা বড় কারণ বলে অনেকে মনে করেন।
যাইহোক মুসলিম সংখ্যাগুরু দেশগুলির প্রতিক্রিয়া ভারত সরকারকে অনেকটা চাপের মধ্যে ফেলেছে। তড়িঘড়ি নবীন জিন্দালকে অপসারণ ও নুপুরশর্মাকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা মুসলিমদের তাৎক্ষণিক বিজয় বলে মনে করা যেতে পারত। এ বিষয়ে ওই সকল দেশ আর তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এমনকি কুয়েতে অনুষ্ঠিত অভিবাসীদের একটি বিক্ষোভ মিছিলে যে সকল বিদেশি অংশগ্রহণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে সে দেশের সরকার।
ভারত তার বন্ধু দেশ গুলির সঙ্গে এই ধরনের তিক্ততায় খুবই অসুস্থ ছিল। পার্টির অভ্যন্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সম্পুর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে ময়দানে অবহিত হওয়া এই দুইটি ঘটনা মুসলিম সমাজের জন্য অনেকটা সদর্থক বার্তা নিয়ে এসেছিল। বিশেষ করে ভারত যে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের বার্তা দিয়েছে তা ছিল একটি মাইলফলক।
মুসলিম সমাজের প্রতিক্রিয়া
মুসলিম যুবকদের অপরিণামদর্শী আচরণ অনেকটা পাশাখেলা ঘুরিয়ে দেয়। দেশজুড়ে মুসলিম যুবকরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভের নামে যা কিছু সংঘটিত করেছে তা আত্মঘাতী’ গোলের মত কাজ করেছে। হযরত মুহাম্মদ সঃ সম্পর্কে নুপুর শর্মার আপত্তিজনক মন্তব্যের পরে প্রাথমিকভাবে ভারতীয় মুসলিম সমাজ এমন কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। আসাদউদ্দিন ওয়েসির মত দু একজন নেতা প্রতিবাদ জানালেও সাধারণ মুসলিমরা এর থেকে দূরে ছিল। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম প্রধান দেশ গুলির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতীয় মুসলিম সমাজকে অনুপ্রাণিত করে। এরপর থেকে তারা নেমে আসে রাস্তায়। উত্তরপ্রদেশের মুসলিমদের মিছিল থেকে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এলাহাবাদ বা প্রয়াগ রাজে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ শুধু একপেশে ভূমিকা পালন করেনি তারা প্রতিবাদীদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। ফ্রাটার্নিটি মুভমেন্টের নেতা ফাতেমা শারমিনের বাবাকে গ্রেপ্তার করে তার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, নদীয়া উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা অবরোধ করে জনজীবন অচল করে দেওয়া হয়। তীব্র দাবদাহে গাড়ির ভেতর ৮-১০ ঘণ্টা আটকে থেকে মানুষ ত্রাহি ত্রাহি করতে থাকে। এই জনবিক্ষোভের পিছনে কারা, নেতৃত্বে কারা কিছুই পরিষ্কার নয়।
নুপুর শর্মার মন্তব্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি যে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল মুসলিম যুবকদের অপরিণামদর্শী আচরণের কারণে তা স্থায়ী হতে পারেনি। বরং তাদের উৎশৃংখল আচরণের বিরূপ প্রভাব পড়ে নবীপ্রেমী সকল মুসলিম সমাজের প্রতি। এই পরিস্থিতিতে সহানুভূতি কুড়াতে মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বজরং দলের মত সংগঠনগুলি। মুসলিম যুবকদের মিছিল থেকে যখন আওয়াজ ওঠে- গুসতাকে রাসূল কী একই সাজা, গর্দান সে শের যুদা” অর্থাৎ রসূল অবমাননার একটাই শাস্তি দেহ থেকে মাথাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। প্রতিপক্ষ সহজেই এর পিছনে আল-কায়েদা, তালিবান ইত্যাদির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে মিলিয়ে দেওয়ার সুযোগ পায়।
সেকুলার বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা
সকল পয়গম্বর বা মহামানব সকল মানুষের জন্য। যারা ধর্মনিরপেক্ষতা, উদারতা, মানবতা ও শান্তিতে বিশ্বাস করে তারা কারো ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি আঘাত দেওয়াকে সমর্থন করতে পারে না। কোথাও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটলে সোচ্চার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব। কেননা, তারাই সমাজকে পথ দেখায়। অথচ পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদকে যখন বিভিন্নভাবে কদর্য আক্রমণ করা হয় তখন এটা নিছক মুসলমানদের বিষয় বলে অন্যরা নীরব থাকেন। এটা খুবই বেদনার বিষয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারা এবং ন্যায়কে ন্যায় বলতে পারা প্রকৃত সচেতন মানুষের পরিচয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয় না। অবশ্য উত্তর প্রদেশে পুলিশের প্রতিবাদীদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনার নিন্দা করেছেন অনেকেই। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন জানানো হয়েছে। যাই হোক উদারপন্থী বুদ্ধিজীবীগণ এ বিষয়ে আরো সক্রিয় হলে হয়তো সাধারণ মানুষ কিছুটা গাইড পেতে পারতো।
প্রতিবাদ বিক্ষোভ: ইসলাম কী বলে
নবী সঃ এর প্রেমে দেওয়ানা মুসলিম সমাজ নবী সঃ এর অবমাননার বদলা নিতে ময়দানে অবতীর্ণ অথচ সেখানে নবীর আদর্শ উদারতা, প্রেম প্রীতি, ভালোবাসা, অনুপস্থিত। কি দেশীয় ক্ষেত্রে কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই একই জিনিস লক্ষ্য করা গেছে। হয়তো কোথাও কোথাও মানুষ নবীর আদর্শ মেনে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু বেনিয়মের তুফানে নিয়মতান্ত্রিকতা খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে। প্রচার মাধ্যমের সৌজন্যে মুসলিম সমাজের প্রতিক্রিয়া গোঁড়ামি ও উগ্রতা রূপেই প্রতিভাত হয়েছে।
আরব দেশ গুলি যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সেখানেও সবটাই ইসলামের নীতিমালা অনুসরণ করে হয়নি। ইসলাম একের পাপে অন্যকে সাজা দেওয়ার চরম বিরোধী। নূপুর শর্মার পাপের বা ভারত সরকারের কোন ভুল পদক্ষেপ এর জন্য কখনোই ভারতের সাধারণ নাগরিকরা দায়ী হতে পারে না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক পদক্ষেপ অবশ্যই কাম্য। কিন্তু সে দেশে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের কর্মচ্যুত করার সিদ্ধান্ত ইসলামী উদারতার পরিপন্থী। এক্ষেত্রে দাওয়াত অর্থাৎ ইসলামের আদর্শ মানুষের সামনে তুলে ধরার বড় সুযোগ হাতছাড়া করেছে মুসলিম বিশ্ব।
কোন বিকল্প কি ছিলনা:
অপরিণামদর্শিতা, হঠকারিতা ও উগ্রতার তুলনায় সব সময় পরিকল্পিত, গঠনমূলক ভাবনা বিজয় লাভ করে। নবী সঃ এর নেতৃত্বে বিশ্বজুড়ে চারিত্রিক বিপ্লবের এটাই ছিল মোক্ষম অস্ত্র। অথচ মুসলিম সমাজ একথা ভুলে গেছে।
নবী সঃ এর বিরুদ্ধে বারবার অবমাননাকর মন্তব্য করা হচ্ছে মিডিয়ার মাধ্যমে। এই আচরণের জবাব দেওয়ার প্রধান ক্ষেত্র হলো মিডিয়া। মুসলিম সমাজের হাতে সেই অর্থে কোন মিডিয়া নেই। আবেগি প্রতিক্রিয়া জানাতে তারা যে অর্থ শ্রম ও সময় ব্যয় করে তার সিকি ভাগ লাগালেও বিকল্প মিডিয়া তারা তৈরি করতে পারত। কিন্তু সেদিকে কারও ধ্যান নেই। সত্য বনাম মিথ্যা, হিংসা বনাম ভালোবাসা, উগ্রতা বনাম উদারতার লড়াই চিরন্তন। তাই যতই সময় লাগুক না কেন লড়াইয়ের ময়দানে উপকরণ সংগ্রহ করতেই হবে। এটাই মূল কাজ। নবীর আদর্শ প্রচারের জন্য প্রচার মাধ্যম গড়ে না তুলে মাঠে ময়দানে অন্ধ আবেগের বহিঃপ্রকাশে আখেরে কোন লাভ নেই। অথচ মুসলিমরা সেই কাজটাই করে আসছে শত শত বৎসর ধরে। কূটনীতির জবাব কূটনীতি দিয়ে, মিডিয়ার জবাব মিডিয়াতে, ময়দানের জবাব ময়দানে দিতে হয়। কূটনীতির জবাব দিতে গিয়ে ময়দান গরম করলে আখেরে উস্কানিদাতাদের উদ্দেশ্য সফল হয়। নুপুর শর্মারা একটা করে উস্কানি দিয়ে ঠাণ্ডা ঘরে চলে যাবে আর আমরা ময়দানে আস্ফালন করে শক্তিক্ষয় করবো। এটা কখনও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
ইসলাম উগ্রতা নয় উদারতার শিক্ষা দেয়
ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ জীবন আদর্শের নাম। এটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মুসলিম একটি আদর্শবাদী জাতির নাম। উগ্রতা নয় উদারতার মাধ্যমে ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদ সঃ ছিলেন উদারতার মূর্ত প্রতীক। কটুক্তি তো দূরের কথা যারা তাকে হত্যা করতে চেয়েছে যারা পাথর মেরে মেরে তাকে রক্তাক্ত করে বেহুশ করে দিয়েছে, জ্ঞান ফেরার পর তিনি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। বিপরীতে তাদের কল্যাণের জন্য দোয়া করেছেন।
মক্কার কোরাইশরা নবী ও তার সাথীদের বিনা অপরাধে শহর থেকে বিতাড়িত করেছিল। কয়েক বছরের মধ্যে যখন হযরত মুহাম্মদ সঃ মক্কা দখল করলেন তখন তিনি কোনো প্রতিশোধ নেন নি। বরং সকলের জন্য ঘোষণা করেছিলেন সাধারণ ক্ষমা। এটাই ইসলাম এটাই নবীর শিক্ষা।
যখন-তখন পথ অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া নবীর শিক্ষা নয়। বরং নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে যদি প্রচণ্ড গরমে রাজপথে দাঁড়িয়ে মুসলিম যুবকরা সাধারণ মানুষকে শরবত পান করাত তাহলে তার প্রভাব অনেক বেশি হত। ভারতে ইসলামী ছাত্র সংগঠন এসআইও কিছুটা সে কাজ করার চেষ্টা করেছে।