HighlightNewsআন্তর্জাতিক

আল-আকসার পর এবার ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করলো ইসরাইল, চলল ইহুদিদের কনসার্ট

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ফিলিস্তিনি তথা বিশ্বের সকল মুসলিমদের দ্বিতীয় পবিত্রতম ধর্মীয়স্থান আল-আকসায় নামাজ পড়তে যাওয়া রোজাদার মুসল্লিদের উপরে ইসরাইলী হামলা নিয়ে সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। যার জেরে হামাস সহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকামী সংগঠণগুলি ইসরাইলকে যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এবার এই উত্তেজনার মধ্যেই গাজার বিখ্যাত ইব্রাহিমি মসজিদ আবারও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। তবে শুধু মসজিদ বন্ধ করেই তারা থেমে থাকেনি। ইব্রাহিমি মসজিদ চত্বরে কনসার্টের আয়োজন করেছে ইহুদিরা। এরই মধ্যে আল-আকসাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া উত্তেজনার মধ্যেই গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এমতাবস্থায় ইব্রাহিমি মসজিদ সংক্রান্ত এই ঘটনায় ইসরাইলী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ‘পাসওভার’ উদযাপনের জন্য রবিবার (১৭ এপ্রিল) ইসরায়েলিরা মুসল্লিদের জন্য প্রাচীন এ মসজিদটির দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর সেখানে পাসওভার উপলক্ষ্যে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এ ঘটনার নিন্দা ইব্রাহিমি জানিয়ে মসজিদের পরিচালক ঘাসসান আল-রাজাবি বলেছেন, ইহুদিবাদী কর্তৃপক্ষ এখন মসজিদ দখলের চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত এটাই প্রথম নয় এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ১০ দিনের জন্য নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরায়েলিরা। পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনারা হেবরনের পুরনো শহরাঞ্চলে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয়। তারও আগে ১৯৯৪ সালে বর্বর ইহুদিরা মসজিদটিতে ঢুকে ২৯ মুসল্লিকে হত্যা করে। এর পর থেকে মসজিদটিতে মুসলিম ও ইহুদি উপাসকদের জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়। হেবরনে ১ লাখ ৬০ হাজার মুসলিম আর ৫০০ ইহুদি অবৈধ বসতকারীর বসবাস।

Related Articles

Back to top button
error: