![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2023/04/Syed-Sadatullah-Hussaini.png)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ইসরাইলি বাহিনী ইচ্ছাকৃত ভাবে ফিলিস্তিনের বিশেষ করে গাজা উপত্যকার স্কুল ও হাসপাতালগুলোতে টার্গেট করে একেরপর এক হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এবং শক্তিশালী দেশ দেশগুলো সম্পূর্ণ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ তুলে তীব্র নিন্দা জানাল জামায়াতে ইসলামী হিন্দ। সংগঠনটি গত মঙ্গলবার গাজার আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি বর্তমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না করা হয়, তাহলে ইতিহাস আমাদের কখনই ক্ষমা করবে না। জামাআতে ইসলামী গাজার ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে রোগী ও অন্যদের হত্যাকে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করেছে।
জামাআতে ইসলামীর দেওয়া একটি বিবৃতিতে জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেন, “আমরা মধ্য গাজার আল-আহলি হাসপাতালের জঘন্য বোমা হামলার নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। প্রায় ১০০০ জন মহিলা ও শিশু হাসপাতালের আশেপাশে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।” তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী সব যুদ্ধ আইন ও মৌলিক মানবিক মূল্যবোধের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে ক্রমাগত স্কুল ও হাসপাতালগুলোকে টার্গেট করছে। নীরব দর্শক হয়ে থাকা শক্তিশালী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই জঘন্য যুদ্ধাপরাধ থেকে নিজেদেরকে রেহাই দিতে পারে না। তাদের হাতে ফিলিস্তিনের নিরপরাধ পুরুষ, নারী ও শিশুদের রক্ত লেগে আছে।”
পাশাপাশি সাদাতুল্লাহ হুসাইনি ইসরাইলকে এই গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক বআদালতে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়ে বলেন,“ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড শাস্তির বাইরে যাওয়া উচিত নয় এবং সাম্প্রতিক অংশে তারা যে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ করেছে তার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। আমরা যদি ফিলিস্তিনিদের সমর্থন না করি এবং বর্তমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না করি, ইতিহাস আমাদের কখনই ক্ষমা করবে না”