HighlightNewsদেশ

জামাত-ই-ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় চাকরি থেকে বরখাস্ত জম্মু-কাশ্মীরের অধ্যাপক! সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন শিক্ষামহলের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: জামাত-ই-ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে এই অভিযোগে চাকরি থেকেই বরখাস্ত করা হল জম্মু-কাশ্মীরের পরিচিত মুখ অধ্যাপক ডঃ আলতাফ হোসেন পণ্ডিতকে। শনিবার কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আলতাফ হোসেন পণ্ডিতকে বরখাস্ত করার নির্দেশ জারি করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে উপত্যাকায়। এরই মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তাঁর ছাত্র-ছাত্রী, সহকর্মী থেকে পরিচিতজন সহ অনেকেই। লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে প্রায় ১০০ জন লিখিত আবেদন জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য।

জানা গিয়েছে, অধ্যাপককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পূর্বে তাকে জানানোই হয়নি তার অপরাধ কি। নিয়ম হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পূর্বে তাকে তার অপরাধের কথা জানিয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিস দেওয়া হয়। এখানে সেই নিয়মও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারের তরফে তাঁকে নিয়ে কোনও তদন্ত কমিটি গঠনেরও খবর পাওয়া যায়নি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর এত বড় সিদ্ধান্ত নিলেন? আসলে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনাধীনে আছে জম্মু-কাশ্মীর। জম্মু-কাশ্মীর শাসনের ক্ষেত্রে একটি ধারা অনুযায়ী প্রশাসন যদি কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক মনে করে তাহলে সেই ব্যক্তিকে তারা কোনও কারণ দর্শানো ছাড়াই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

যদিও বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন দশক আগে ১৯৯০-৯১ নাগাদ ওই অধ্যাপক নাকি পাকিস্তান গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। যদিও দীর্ঘদিন তাঁর আচার-আচরণ, কর্মপদ্ধতি, মেলামেশা কোনও কিছুর সঙ্গেই উগ্রপন্থী সংগঠন বা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কোনও যোগাযোগ প্রশাসনের সামনে আসেনি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কাছে নাকি প্রমাণ আছে যে এখনও ড. পন্ডিত এর সঙ্গে গোপনে জামাত-ই-ইসলামীর সম্পর্ক আছে। যদিও এই অভিযোগের ভিত্তিতে কি ভাবে একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিকে তাঁর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যায় সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।

Related Articles

Back to top button
error: