জেবিএস ফাউন্ডেশানের ত্রাণে গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতা সুন্দরবন আজও সেই তিমিরে

সুন্দরবনে জেবিএস ফাউন্ডেসান

আখের আলি, টিডিএন বাংলা:  কয়েক দিন আগে আমার এক সহকর্মীর ফোন, ‘ ত্রাণ দিতে যাচ্ছি, যাবে?’ – কোথায়? নামখানাl যেই বলা সেই তৈরিl সকাল সাতটায় পৌছালাম জেবিএস ফাউন্ডেশন এর অফিসেl বাগুইআটি থেকে বেরোতে বেরোতে ৮.৩০ l নামখানার মূল জায়গায় পৌঁছতে পৌঁছতে ১১.৩০l গাড়ি থেকে নেমে রেললাইন পার করাl তারপর কাঠের ও বাঁশের ব্রিজের উপর দিয়ে ছোট নদী পেরিয়ে পৌছালাম দুর্গানগর, নেতাজি ইয়ুথ ফোরামের আঙিনায়l রাস্তার ধারে এখনো জলের দাগ আছেl ভেঙে যাওয়া নদীর জল ঢুকে সমস্ত সবুজ ঘাস পৌঁছে গন্ধ বেরোচ্ছিলl ছোট ছোট পারশে মাছ, ভাঙ্গন মাছ জলে খেলা করছিলl সেই সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অসংখ্য মহিলা পুরুষ বাচ্চা সারিবদ্ধভাবে ত্রাণ পাওয়ার অপেক্ষায়l দুটো পর্যন্ত শেষ হলো ত্রাণ বিলি করাl তারপর অন্যদিকে আধা ঘণ্টার পথ পেরিয়ে পৌঁছলাম পশ্চিম গণেশ নগরl সেখানেই দেওয়ার কথা ১৫০ জনকে। কিন্তু দিতে হলো ১৮০জনকে। তারপর অন্য গ্রুপ থেকে ফোন করে জানলাম নেডা ভাঙার ওখানে ত্রাণ কম পড়েছেl তাই আমাদের গাড়িতে যা ছিল তড়িঘড়ি সেখানে পাঠানোর তোড়জোড়l অলিগলি ইটের রাস্তা দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে পাঠানো হলোl সব মিলিয়ে যখন বিতরণ কাজ শেষ করলাম তখন সময় বিকেল চারটেl জেবিএস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শম্ভু মাইতির কথায় ঐদিন ৭৮০ প্যাকেট দেয়া হয়েছিলl প্যাকেটের মধ্যে ছিল চাল-আটা, ডাল, তেল, ছাতু, বিস্কুট সেইসঙ্গে পানির বোতলl প্যাকেট গুলো খুব একটা ভারী না হলেও বেশ ছিল বলা চলেl তবে যেভাবে ওখানকার স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে তার তুলনা হয়নাl

জেবিএস ফাউন্ডেশন এর কাজের মধ্যে নৈপুন্যতা এবং আন্তরিকতা ও প্রকৃত হতদরিদ্র মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রশংসার যোগ্যl জেবিএস ফাউন্ডেশন প্রায় এরকম কাজ করে থাকে। একদিকে অসহায় মানুষের পাশে কিছু নিয়ে দাঁড়াতে পেরে যেমন ভাল লেগেছে তেমনি সুন্দরবন এলাকার মানুষের এই করুন দৃশ্য দেখে বার বার ভারাক্রান্ত হয়েছে। বার বার মনে হয়েছে, ত্রান নয়, এই এলাকার জন্য চাই স্থায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা। সরকার যদি সেদিকে নযর দেয় তাহলেই কাজ হবে।