HighlightNewsদেশ

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বদলির তালিকা ফাঁস! বিরোধীদের সমালচনার মুখে কেন্দ্র

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ মাত্র এক মাসে ভূস্বর্গে আক্রান্ত হয়েছেন দু’জন কাশ্মীরি পণ্ডিত। জঙ্গি হানায় প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন উপত্যকায় বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত প্রধানমন্ত্রী প্যাকেজ এবং তফসিলি জাতির প্রায় ৫৯০০ হিন্দু কর্মচারী। বারংবার উপত্যকা থেকে জম্মুতে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায় থেকে আগত ১৭৭ জন শিক্ষককে কাশ্মীরের জেলা সদরে পোস্টিং দেওয়া হবে। সেইমত শ্রীনগরের প্রধান শিক্ষা আধিকারিক কর্তৃক জারি করা একটি চিঠিতে সমস্ত শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বদলির তালিকা প্রকাশ্যে চলে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফত। কোন শিক্ষককে কোথায় বদলি করা হয়েছে সেই সমস্ত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন উপত্যকায় চাকুরীরত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার কারণে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে।

এই ঘটনায় কেন্দ্রের সমালচনা করে শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, এইভাবে উপত্যকার সংখ্যালঘু মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বিজেপি সরকার। তিনি এদিন বলেন, “এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জীবন নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই নেই কেন্দ্রীয় সরকারের।” তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, “কেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আস্থা রাখবেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা?” কেন্দ্রকে আক্রমণ করে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “যখন কাশ্মীর সমস্যা বাড়ছিল, বিজেপি নেতারা তখন ছবির প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন।” এদিকে, পুনর্বাসনের কথা বলে আসলে তাঁদের ভাঁওতা দিচ্ছে বিজেপি সরকার, এমনটাই দাবি করেছেন ভূস্বর্গে থাকা কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কাশ্মীরে তাঁদের জন্য কোনও নিরাপদ জায়গা নেই বলেও দাবি করেছেন সন্দীপ কুমার নামে এক কাশ্মীরি পণ্ডিত।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাশ্মীরের বিজেপি মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর জানিয়েছেন, “গুরুতর ভুল হয়ে গিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।“ আলতাফের দাবি, “কাশ্মীরি পণ্ডিতদের রক্ষা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কয়েকজন সরকারি আধিকারিক সেই কাজে বাধা সৃষ্টি করছে।“

Related Articles

Back to top button
error: