Newsদেশ

উপত্যকায় মাও-ধাঁচে সন্ত্রাস চালাচ্ছে জঙ্গিরা, চাঞ্চল্যকর দাবি তদন্তকারীদের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ নিরীহ শ্রমিকদের হত্যা করে চলেছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। এর পিছনে কে বা কারা আছে? ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে NIA। তাদের সহযোগিতা করছে আইবি। নয়াদিল্লির সরকারি সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর সূত্র হাতে এসেছে। তাদের দাবি, জম্মু কাশ্মীর উপত্যকার বিস্তীর্ণ অংশে মাওবাদীদের ধাঁচে জঙ্গি আন্দোলনকে পরিচালনা করতে চাইছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি।

তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, এইজন্যই জঙ্গিরা প্রথমে নিজেদের গোষ্ঠীর নাম পরিবর্তন করেছে। স্থানীয় কাশ্মীরি নাগরিকদের নিশানা না করে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের খুন করছে জঙ্গিরা। এইভাবে কাশ্মীরের অধিবাসীদের মনে জায়গা পেতে চাইছে তারা। উস্কানি দিতে চাইছে আজাদ কাশ্মীরের দাবিকে। সংগঠনের নামকরণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ফ্রন্ট শব্দটি ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। দুসপ্তাহে উপত্যকায় বিভিন্ন প্রান্তে ১১জন শ্রমিক খুন হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার যে জঙ্গি সংগঠন করেছে তার নাম ‘দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট’। এর পাশাপাশি উপত্যকায় সক্রিয় ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট, পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি এই জঙ্গিরা আসলে মাওবাদীদের আদর্শে নাশকতা চালাতে চাইছে।

জঙ্গিদের ইন্ধন দিচ্ছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, এখন জঙ্গিরা অনেক বেশি প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হ্যাক হতে পারে। এই আশঙ্কায় জঙ্গিরা এখন অত্যাধুনিক বিদেশী চ্যাটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। সেখানে বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষায় লেখা চ্যাট ডিকোড করা রীতিমতো কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত এনআইএ জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট চারজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে।

Related Articles

Back to top button
error: