HighlightNewsরাজ্য

নাগাসাকি দিবস ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন: আলাপচারিতায় অনুসন্ধান

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ইতিহাস ও বিজ্ঞান – এই দুই বিষয়ের এক অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটে গেল সোমবার সন্ধ্যায় অনুসন্ধান কলকাতার সান্ধ্যকালীন আলাপচারিতায়। এদিন আলাপচারিতার বিষয়বস্তু ছিল – ‘নাগাসাকি দিবস : পরমাণু শক্তি, তার বিভিন্ন প্রয়োগ ও ব্যবহার’ এবং ‘বিয়াল্লিশের বাংলা : ফিরে দেখা ইতিহাস এবং স্মৃতি’। অনুসন্ধানের এদিনের আলাপচারিতায় প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ‘ভাবা এটমিক রিসার্চ সেন্টার’ এর বিশিষ্ট বিজ্ঞানী পৌলমী মুখার্জী। তিনি নাগাসাকির সেই বিষময় স্মৃতির কথা তুলে ধরে বলেন, “আজ আমরা উপস্থিত ছোট ছোট পড়ুয়াদের কাছে পারমাণবিক শক্তির উৎস এবং তার নানান প্রয়োগ নিয়ে কথা বলব।” মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের E=mc² এই বিখ্যাত ফর্মুলার সূত্র ধরে বস্তুর ভর কী করে শক্তিতে রুপান্তরিত হয় তা সহজ ভাবে তিনি ব্যাখ্যা করেন। এরপর পারমাণবিক শক্তির নানাবিধ ব্যবহার যেমন- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা, কৃষি প্রভৃতি নানান ক্ষেত্রের কথা উদাহরণ দিয়ে বিশদভাবে তুলে ধরেন তিনি। প্রচলিত শক্তির সঙ্গে পারমাণবিক শক্তির খরচেরও তুলনা করে দেখান তিনি। তিনি বলেন এ সবই প্রকৃতির দান এবং কী নিপুণ হাতে তৈরি আমাদের প্রকৃতি। তার মধ্যেই নিহিত আছে শক্তির ভান্ডার। জ্ঞান গবেষণায় এসমস্ত রহস্য ধীরে ধীরে আমাদের কাছে উন্মোচিত হচ্ছে। উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও এই দিনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অন‍্যতম প্রধান অতিথি কর্ণাবতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রসিদ্ধ অধ্যাপক ও লেখক অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে অসাধারণ এক বক্তব্য রাখেন। এই আন্দোলনের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ অতি গভীর এক বিশ্লেষণাত্মক পর্যালোচনা করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে সাধারণ মানুষের যে অবদান তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন অধ্যাপক অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক, বলিয়া, সাতারা এসব অঞ্চলের আঞ্চলিক সরকার গঠনে সাধারণ মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন তা প্রতিটি যুগের জন্য শিক্ষনীয় বলে বর্ণনা করেন তিনি। এদিনের আলাপচারিতায় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। এদিনের সভায় আরো যারা বক্তব্য রাখেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিজরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট লেখক কাজী নিজামউদ্দিন, অনুসন্ধানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক প্রখ্যাত কৃষি বিজ্ঞানী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান খান, বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষক ড. কমল কৃষ্ণ দাস প্রমুখ।এছাড়াও বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড.মুজিবর রহমান, মহিষাদল রাজ কলেজের বিশিষ্ট অধ্যাপক ও সুলেখক ড. শুভময় দাস, ইতিহাসের বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষক সাহাবুল ইসলাম, গৌরাঙ্গ সরখেল, জয়জিৎ চক্রবর্তী। পুরো অনুুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট গণিত শিক্ষক নায়ীমুল হক।

Related Articles

Back to top button
error: