Highlightদেশ

রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার বর্ষপূর্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিভিন্ন সংগঠনের

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা: রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার বর্ষপূর্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ সালে হায়দ্রাবাদ ইউনিভার্সিটির গবেষক ছাত্র রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর পাঁচ বছর পরেও তাঁকে স্মরণ করা হচ্ছে। এদিন অনলাইনে রোহিতের সমর্থনে অনুষ্ঠান করা হয়। সারা দেশজুড়ে টুইটার, ফেসবুক সহ ওয়েবমিনার অনুষ্ঠান হয়। রোহিতের মা রাধিকা ভেমুলাও ছেলের মৃত্যুর জন্য সরকার ও কিছু প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মকে দায়ী করেন। রাধিকা বলেন,রোহিত ভেমুলাকে প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু আজো সুবিচার মেলেনি। ও নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে যাতে অন্যেরা প্রতিবাদ করতে পারে।

ওয়েলফেয়ার পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন,এক রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর পর লক্ষ রোহিত ভেমুলার জন্ম হয়েছে। রাধিকা আজও সন্তানের জন্য কাঁদেন। দলিত বিরোধী,আদিবাসী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বর্জন করার এখনই সময়। নিজের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার এখনই সময়। রোহিত কিন্তু সেই শিক্ষা দিয়েছেন।

এদিন জয়ভীম ইন্ডিয়ার শরদিন্দু উদ্দীপন, দলিত নেতা অধ্যাপক সুধাকর সরদার সহ বহু মানুষ রোহিত ভেমুলার স্মরণে আলোচনা সভা করেন।
সিপিআইএমএল লিবারেশনের রাজ্য কমিটির সদস্য অমিত দাশগুপ্ত বলেন,রোহিত ভেমুলা থেকে হাথরাস, হায়দ্রাবাদ থেকে উত্তরপ্রদেশ দলিতদের প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা জারি আছে। আজ থেকে ৫ বছর আগে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্র রোহিত ভেমুলা আত্মহত্যা করেন। কিন্তু সামগ্রিকে রোহিত ভেমুলার মৃত্যু একটি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থা-উদ্ভুত হত্যা।

তিনি আরও বলেন, ভারতের উচ্চবর্ণ শাসিত প্রতিষ্ঠান ও উচ্চবর্ণের কর্তৃপক্ষ দলিতদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হত্যা করে।
২০১৯ সালের মে মাসের ২২ তারিখে মুম্বাই-এ ডা: পায়েল তাদভি স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শাস্ত্র পড়ার সময়ে তাঁর শিক্ষকদের দ্বারা ক্রমাগত জাতি বিদ্বেষী আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে অবশেষে আত্মহত্যা করেন। ২০১২ সালের মার্চে অনিল কুমার মীনা নামে একজন আদিবাসী ছাত্র দিল্লি এইমসেই আত্মহত্যা করেন। গত জুন মাসের ৬ তারিখে ১৭ বছরের দলিত তরুণ বিকাশ কুমার জাটভকে কেবল উত্তরপ্রদেশের আমরোহাতে মন্দিরে ঢোকার অপরাধে ৪ জন উচ্চবর্ণের যুবক গুলি করে হত্যা করে। এভাবেই দলিত ভারতবাসীর উপরে উচ্চবর্ণ তার নখ দাঁত বের করে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অত্যাচার করে চলেছে।

Related Articles

Back to top button
error: