সম্পাদকীয়

বিরোধী শক্তিগুলি হতাশা থেকেই মীমের সমালোচনা করছে!

সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস,টিডিএন বাংলা:আমি মিমের সমর্থক নই, মিমের বিরোধী। আমি বিজেপির বিরুদ্ধে।

আমি কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল সমর্থক নই ; কিন্তু বিজেপিকে হারানোর প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াতে তৈরি। এমনকি কোন কোন কেন্দ্রে বিজেপি-কে হারাবার জন্য মিমকে সমর্থন করতেও রাজি। বিজেপি-র থেকে ভারতের জনগণের যে বিপদের সম্ভাবনা, মিমের থেকে সেই রকম বিপদের সম্ভাবনা নেই। যদিও একথা অস্বীকার করার নয় যে, মিমের উত্থান বিজেপি-কে অক্সিজেন যোগাতে পারে।

মিম একটি রেজিস্টার পার্টি, অনুমোদিত রাজনৈতিক দল। তাই সংসদীয় ব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণের অধিকার আছে, তারা অংশগ্রহণ করছে। ওই দলকে যাঁদের ভাল লাগছে, তাঁরা ভোট দিচ্ছেন, সেই ভোট মিম পার্টির।

বহুদলীয় ব্যবস্থায় নুতন ও ছোট দলগুলোকে লড়াই করতেই হয়। তাতে কার লাভ বা লোকসান—এটা কেন তারা ভাবতে যাবেন। সেটা ভাবতে গেলে ছোট ও নুতন দল গঠন করা চলে না। সংসদীয় ব্যবস্থার লড়াইয়ে নিজের নিজের দলের ভালো ও সুবিধাই সব দল দেখে থাকে।

আমার মতে বর্তমান অবস্থায় নিজের নিজের দলের সুবিধার সাথে বিজেপি -কে হারানোটাকেও অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী সব দলের দায়িত্ব আছে। মিম রাজি থাকলে বিরোধীদের উচিত মিমকেও সাথে নেওয়া। কিন্তু মিমকে অস্পৃশ্য করে রেখে, পরে বিজেপি-র সুবিধা করে দেবার অজুহাত তোলা ঠিক নয়।

বিহারের ক্ষেত্রে মিম মাত্র ২০ টি কেন্দ্রে লড়াই করেছে এবং ৪/৫ টি আসন মনে হয় জিতে নিয়েছে, ভালো ভোট পেয়েছে। এটা তাদের লড়াই, ভালোই লড়াই করেছে।

আমার ধারণা যে, নির্বাচনী প্রচারে মিম বিজেপি-র সমালোচনা করেছে। মুসলমান ও নির্যাতিতদের পক্ষে বলেছে। এইসব প্রচার আন্দোলনে ওই দল কোন ফাউল করেছে কিনা, সেটাই বিবেচ্য। তা না করে থাকলে তার বিরুদ্ধে বিজেপি কে সুবিধা পাইয়ে দেবার অভিযোগ অন্যায়, মিমের প্রতি অবিচার। এসব আসলে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির হতাশার প্রকাশ, আমার কাছে যেন বিরোধী শক্তির আর্তনাদ বলে মনে হয়!

(সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস প্রবীণ দলিত নেতা ও বিশিষ্ট লেখক। )

Related Articles

Back to top button
error: