বিনা প্ররোচনায় ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান; প্রাণ হারালেন এক ভারতীয় সেনা কর্মী

প্রতীকী ছবি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ১৯৯৯ সালে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয়েছিল তা মোটেই মিনিং চলতে চাইছে না পাকিস্তান। বিনা প্ররোচনায় বারবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শনিবার গভীর রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার নৌসেনা সেক্টরে ফের একবার সংঘর্ষ বিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। যদিও এই অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারান ভারতীয় সেনার হাবিলদার সংগ্রাম পাটিল।

প্রসঙ্গত, সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে ১৯৯৯ সালে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরোধী চুক্তি হওয়ার পর থেকেই লাগাতার এই চুক্তি ভাঙার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। চলতি বছরেই ৩২০০ বার এই চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গোলা গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। যার পরিণাম স্বরূপ চলতি বছরেই সীমান্ত অঞ্চলে মোট ৩০ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১১০ জন। গত সপ্তাহেই উরি সেক্টরে অতর্কিতে গোলা গুলি চালাতে শুরু করে পাকসেনা। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ৬ জন সাধারন নাগরিক সহ আরো ১১ জন। ওই ঘটনাটি প্রাণ হারিয়েছিলেন বাংলার বীর সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষ। শুধু তাই নয় মাত্র দু’দিন আগেই জম্মুর নাগরোটা টোলপ্লাজায় একটি ট্রাকে চেপে ভারতের মাটিতে ঢুকে পড়ে ৪ জঙ্গি। সীমান্ত বাহিনীর নজর এড়িয়ে জম্মুতে প্রবেশ করার জন্য আতঙ্কবাদীরা জম্মু থেকে শকরগড় এলাকার দিকে প্রবাহিত একটি ড্রেনে আশ্রয় নিয়েছিল। উল্লেখ্য শকরগড় এলাকায় পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের একটি হেডকোয়ার্টার রয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের শকরগড়ের একটি লঞ্চিং প্যাড থেকে জম্মু সীমান্তে প্রবেশ করেছিল ওই আতঙ্কবাদীরা। এরপর জম্মু থেকে শকরগড় এলাকার দিকে প্রবাহিত একটি ড্রেনে আশ্রয় নিয়ে এবং পরে ড্রেন পেরিয়ে জম্মু পাঠানকোট জাতীয় মহাসড়কে এসে পৌঁছয় আতঙ্কবাদীরা। এরপর তারা জম্মু থেকে একটি ট্রাকের নকল নম্বর প্লেট লাগিয়ে শ্রীনগরের দিকে যাত্রা শুরু করে। ওই ট্রাক জম্মুর নাগরোটার ব্যানারোটার টোল প্লাজায় পৌঁছার সাথে সাথে সুরক্ষা বাহিনী এই ট্রাকটিকে ঘিরে ফেলে এবং এতে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করতে বলে। ট্রাকের চারপাশে এভাবে সেনাবাহিনীকে ঘিরে দাঁড়াতে দেখে ট্রাকের চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়, তবে ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঐ চার আতঙ্কবাদীকে গুলি করে হত্যা করে সেনা। এই ঘটনার পর পাক হাইকমিশনারকে তলব করেছে দিল্লি। তারপরেও শনিবার রাতে এভাবে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান।