কর্ণাটক হাইকোর্টের হিজাব-রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন আবেদনকারীরা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: মুসলিম পড়ুয়াদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলল না কর্ণাটক হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন আন্দোলনকারী মুসলিম ছাত্রীরা। এর আগে, ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্রুত শুনানির আবেদন করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারী ছাত্রীরা। তবে, সে সময় মামলাটি হাইকোর্টে চলছে জানিয়ে, শীর্ষ আদালত ওই মামলা গ্রহণ করতে অসম্মত হয়।

প্রসঙ্গত, ১০ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্তি, বিচারপতি কেএস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএম খাজি অন্তর্বর্তী রায় দিয়ে বলেন, যতদিন না রায় ঘোষণা হচ্ছে কর্নাটকে স্কুল-কলেজ খোলা হলেও কোনো পড়ুয়া ধর্মীয় প্রতীকমূলক কোনো পরিধান পরে আসতে পারবেন না। এরপর আজ মঙ্গলবার এই মামলায় ভারতীয় সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করে উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ জানিয়েছে, হিজাব পরা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়। তাই এক্ষেত্রে ভারতীয় সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার রক্ষাকবচ প্রযোজ্য নয়। একইসঙ্গে, স্কুল পরিচ্ছদের অঙ্গ হিসেবে হিজাব বা অন্য কোনো ধর্মীয় উত্তরীয় বা আবরণ নিষিদ্ধ করার কর্ণাটক সরকারের সিদ্ধান্তকেও পড়ুয়াদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হিসেবে দেখছে না উচ্চ আদালত। কর্ণাটক হাইকোর্টের এই রায়কে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সরকার তথা বিজেপি স্বাগত জানিয়েছে। যদিও এই রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশের একাধিক রাজনীতিবিদ।

উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একাধিক ট্যুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর হিজাব পরিহিত মহিলাদের ব্যাংক, হসপিটাল বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের বিভিন্ন জায়গায় হয়রানির শিকার হতে হবে কি না তা নিয়েও যথেষ্ট উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, আসাদউদ্দিন ওয়েসি উল্লেখ করেছেন মুসলিমদের জন্য এটা ঈশ্বরের নির্দেশ পড়াশোনার সঙ্গেই তাঁদের কঠোর নীতিগুলিও পালন করতে হবে। এই নীতি গুলির মধ্যে সলাহ, হিজাব, রোজা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এখন সরকার মহিলাদের পড়াশোনা এবং কঠোর নিয়ম নীতির মধ্যে বেছে নেওয়ার জন্য জোর করছে। প্রথমে দাড়ি রাখা এবং এখন হিজাব পরা আইনত অপ্রয়োজনীয়। “স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং বিশ্বাসের আর কি বেঁচে রইল?”