HighlightNewsআন্তর্জাতিক

বিক্ষোভে উত্তাল কাজাখস্তান, ১৮ নিরাপত্তা কর্মী নিহত ও আহত প্রায় সহস্র

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : আকস্মিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধির জেরে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে কাজাখস্তানে। পশ্চিমাঞ্চলের মানজিস্তাউ প্রদেশ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে আলমাটিসহ অধিকাংশ শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে জনগণের চাপে দেশটির সরকারের পতনও ঘটেছে ইতোমধ্যেই। কিন্তু সরকারের পদত্যাগের পরেও বিক্ষোভ অব্যাহত রেয়েছে। বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা কর্মীদের সংঘাতের ফলে প্রায় ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় সহস্রাধিক। অন্যদিকে পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের ঠিক কতজন নিহত হয়েছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২২৯৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

দাঙ্গা নিয়ন্ত্রনের জন্য কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সরকারি কার্যালয়ে আগুন লাগিয়েছে এবং হামলা চালিয়েছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধান শহর আলমাটিতে ডজনখানেক দাঙ্গাকারীকে হত্যা করেছে। দেশটির পুলিশের মুখপাত্র সালতানেট আজিরবেক একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দেশের বৃহত্তম শহর আলমাটিতে ‘চরমপন্থী শক্তি’ রাতজুড়ে প্রশাসনিক ভবন ও পুলিশের বিভাগে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স সহ বহু দেশ সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ বিক্ষোভের জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘সন্ত্রাসী’দের দায়ী করলেও কোনও প্রমাণ দেননি। তিনি বিক্ষোভ দমনে সহায়তা করতে কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনকে (সিএসটিও) অনুরোধ করেন। এই জোটে রয়েছে রাশিয়া, কাজাখস্তান, বেলারুশ, তাজিকিস্তান এবং আর্মেনিয়া। জানা গিয়েছে বিক্ষোভ দমনে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রায় আড়াই হাজার সেনা বাহিনী সেখানে পৌঁছেছে। সিএসটিও তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সেনারা শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং তারা রাষ্ট্রীয় এবং সামরিক স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা দেবে। এই বাহিনী কাজাখস্তানে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ বাহিনী মোতায়েনের অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছে তারা। এক মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং খোলাখুলিভাবে পুরো দুনিয়া দেখবে সেখানে কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় কিনা।’ এছাড়া কোনও কাজাখ প্রতিষ্ঠান দখলও হয়ে যাচ্ছে কিনা তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Related Articles

Back to top button
error: