বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা জ্বালিয়ে দেওয়া হল নেতাদের ৫০ বাড়ি, মৃত অন্তত ৯ জন, আহত কমপক্ষে ২৫০

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শ্রীলঙ্কাজুড়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমজনতা। বিক্ষোভে গোটা দেশ জুড়েই দেখা গিয়েছে ভয়ংকর দৃশ্য। মূহুর্মূহু নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় নামানো হয়েছে সেনাবাহীনি। দেশজুড়ে অবস্থান নিয়েছে সেনা। চারিদিকে চলছে গুলি-বোমার আওয়াজ। পোড়ানো হয়েছে গাড়িঘোড়া, দোকান, বাড়ি, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টান। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কঠোর ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, কেউ সম্পত্তি নষ্ট করলে চালানো হবে গুলি। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সেই হুঁশিয়ারির উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের প্রায় ৫০টির বেশি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। যার মধ্যে এমপি ও মন্ত্রীর বাড়িও রয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পৈত্রিক বাড়িতেও আগুন লাগানো হয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞ করা হয়েছে রাজাপাকসে পরিবারের বিতর্কিত জাদুঘরও। সোমবার সরকারপন্থী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সোমবারের সহিংসতার পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫০ জন আন্দোলনকারী।

আন্দোলনকারীদের অনড় অবস্থানের কাছে অবশেষে মাথা নত করে সোমবার পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। কিন্তু এরপরও ক্রমশই বাড়ছে বিক্ষোভ। দেশটির সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে আইন ভঙ্গকারীদের গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে কারফিউ-এর মেয়াদ। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কার আমজনতার কাছে আরজি জানিয়েছেন, ‘প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধস্পৃহা’র পথ থেকে সরে দাঁড়াতে। প্রসঙ্গত, গত মাসেই শ্রীলঙ্কা প্রশাসন পরিষ্কার করে দেয়, ঋণদাতাদের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। শনিবারই পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য দ্বীপরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়।