রাহুল গান্ধীর ২ বছরের শাস্তি: ‘সাংসদ হিসাবে অযোগ্য’, বললেন কপিল সিবাল, ‘সত্য বলার জন্য শাস্তি’, মন্তব্য জয়রাম রমেশের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর শাস্তি প্রসঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিবাল বলেন, রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর ফলে, তিনি সাংসদ পদে অযোগ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই শাস্তি নিজেই খুবই অদ্ভুত। একইসঙ্গে, কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে সত্য কথা বলার এবং স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটা নতুন ভারত, যেখানে আপনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললে ইডি, সিবিআই, পুলিশ সবাই আপনার পিছু নেয়।

এদিকে, আদালতের ওই রায়ের পর আজ সারা দেশে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস। শুক্রবার সকাল ১১:৩০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে বিজয় চকে যান কংগ্রেস নেতারা। একইসঙ্গে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া, এদিন সকাল ১০টায় বিরোধী দলগুলোর বৈঠক ডাকা হয়। সন্ধ্যায় রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। অন্যদিকে, সোমবার রাজধানী দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ করবে কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, গুজরাটের একটি আদালত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। আদালত রাহুলকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। যদিও জামিন পেয়েছেন রাহুল। এছাড়াও, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, কর্ণাটকের এক জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘সব চোরের নাম মোদী কেন…’। রাহুলের ওই মতব্যের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নিয়ে মানহানির মামলা দায়ের করেছে বিজেপি।

বৃহস্পতিবার, আদালতের বাইরে, বিধায়ক এবং আবেদনকারী পূর্ণেশ মোদী এবং তার সমর্থকরা ভারত মাতা কি জয় এবং জয় শ্রী রাম স্লোগান তোলেন। গতকাল, রায় দেওয়ার সময় আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্ত একজন সংসদ সদস্য, তিনি সমাজের একটি বড় অংশকে প্রভাবিত করেন। এই কারণে অপরাধের প্রভাব অনেক ব্যাপক। এমতাবস্থায় অভিযুক্তকে কম শাস্তি দেওয়া খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দেবে।

এদিকে, আদালতে রাহুল গান্ধীর সাজা হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে সাংসদ পদে অযোগ্য হবেন কি না? এ বিষয়ে কপিল সিবাল বলেন, আদালত সাজা স্থগিত করলে তা যথেষ্ট হবে না। রাহুল গান্ধী সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন যতক্ষণ আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন না। আইন অনুসারে, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক যদি কোনও অপরাধে দুই বছরের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি অযোগ্য। ২০১৩ সালের লিলি থমাস বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলায়, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, কোনও সাংসদ, বিধায়ক বা এমএলসি যিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি হাউসে অযোগ্য।