টিডিএন বাংলা ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরপরই রাশিয়ার সামরিক বাহিনী শুরু করেছে হামলা। এই যুদ্ধ সারা বিশ্বে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি রাশিয়াকে চরম পরিণতির হুমকি দিচ্ছে। যুদ্ধ বন্ধের আহব্বান করেছেন রাষ্ট্রসংঘের সভাপতি গুতেরেস। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জরুরি বৈঠকে বসেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের সভাপতি গুতেরেস এক ট্যুইট বার্তায় বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হতে দেবেন না, যা এই শতাব্দীর শুরু থেকে সবচেয়ে খারাপ যুদ্ধ হতে পারে।’ হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি পূর্বপরিকল্পিত যুদ্ধ বেছে নিয়েছেন যা বিপর্যয়কর। এর ফলে জীবনহানি এবং মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে। এই আক্রমণ যে মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনবে তার জন্য একমাত্র রাশিয়া দায়ী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র এবং অংশীদাররা ঐক্যবদ্ধ এবং সিদ্ধান্তমূলক প্রক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানাবে। বিশ্ব রাশিয়াকে জবাব দিতে বাধ্য করবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করব যাতে একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা যায় যা জোটের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করে। আমি আজ সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউস থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব এবং আমার জাতীয় নিরাপত্তা দলের কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট পেতে থাকব।’
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রাশিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ‘ইউক্রেনে ভয়াবহ ঘটনা দেখে আমি আতঙ্কিত এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের ওপর বিনা প্ররোচনায় এই হামলা চালিয়ে রক্তপাত ও ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছেন। ব্রিটেন এবং আমাদের মিত্ররা প্রতিক্রিয়া জানাবে।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো রাশিয়ার নিন্দা করে রাশিয়াকে অবিলম্বে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সমস্ত শত্রুতামূলক এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার এবং দেশ থেকে সমস্ত সামরিক ও প্রক্সি বাহিনী প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।