HighlightNewsদেশ

কেন্দ্রের গাফিলতিতেই করোনায় এত মৃত্যু! ‘করোনা মহামারী এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা’ শীর্ষক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে প্রকাশ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্রের গাফিলতিতেই করোনার সংক্রমণ এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। এমনটাই গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে ‘করোনা মহামারী এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা’ শীর্ষক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির প্রকাশিত একটি রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্র সরকারের কোন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা না থাকায় করোনা রোগীদের চিকিৎসায় লাগাম ছাড়া বিল করেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। যার ফলে মানুষের সাধ্যের বাইরে পৌঁছে গেছে করোনার চিকিৎসা। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালগুলিতে অপর্যাপ্ত বেডের সংখ্যা এবং ভেন্টিলেটরের পরিস্থিতি করোনার মোকাবিলায় যথাযোগ্য হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। একদিকে বেসরকারি হাসপাতালে অত্যধিক খরচ আর অপরদিকে সরকারি হাসপাতালে বা সরকার নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা করোনার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে বলেই দাবি করেছে সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট।

পাশাপাশি ভারতের মতো জনবহুল দেশে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অংকের পরিমাণ অপ্রতুল বলেও মন্তব্য করা হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ রামগোপাল যাদবের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির রিপোর্টে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। একই সঙ্গে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার লগ্নি বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি সস্তায় এবং গরিবদের জন্য ভর্তুকি দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে ওই কমিটির রিপোর্টে। এই রিপোর্ট সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হওয়ার কথা ছিল। শনিবার উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু কাছে এই রিপোর্ট পাঠানো হয়।

এই রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, করোনার পরীক্ষায় প্রথম পর্যায়ের সরকারের তরফ থেকে করা ঢিলেমি এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং এর জন্য লাগামছাড়া ভাবে করোনার সংক্রমণ হয়েছে দেশে। শুধু তাই নয় যে ধরনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হচ্ছে তাও তেমন বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে না ওই কমিটি। উপরাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করা ওই রিপোর্টে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা দ্রুত ফল দিলেও তা খুব একটা ভরসাযোগ্য নয় বলে স্পষ্ট মন্তব্য করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টে দেশবাসীর জন্য আরও নিখুঁত রোগ নির্ণয় ব্যবস্থার জন্য আরটিপিসিআর পরীক্ষার হার বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: