নিজস্ব প্রতিনিধি, টিডিএন বাংলা, নদীয়া:
দক্ষিণ বঙ্গ জুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। গরমে নাকাল হচ্ছে পড়ুয়ারা। আর এই গরমের হাত থেকে ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে ‘মর্নিং স্কুল’ চালুর দাবি জানাচ্ছেন জেলার অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। একই দাবি অভিভাবকদেরও। প্রাথমিক, এসএসকে, এমএসকে থেকে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক সকল ক্ষেত্রেই সকালে স্কুল করার দাবি উঠছে।
তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই গরমের ছুটি এগিয়ে আনার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য, এই তীব্র গরমে নিয়মিত ক্লাস করতে ছাত্রছাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। প্রচণ্ড গরমে পড়ুয়াদের সকলেরই হাঁসফাঁস দশা। অসুস্থও হয়ে পড়ছে অনেকে। দেখা দিচ্ছে ‘ডিহাইড্রেশন’-এর সমস্যাও।
তেহট্টের খাসপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র সাহা জানান, ‘পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ বর্ধমান জেলায় যদি মর্নিং স্কুল চলে তাহলে আমাদের জেলায় কেন হয়না? নদিয়ার বাচ্চাদের কি গরম লাগে না?’
করিমপুরের দক্ষিণ বারবাকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, গতকালই এক অভিভাবক স্কুলে বাচ্চাকে নিতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, মাস্টারমশাই! যা গরম পড়েছে বাচ্চারা তো মরে যাবে। মর্নিং স্কুল করলে কি হয়!
থানারপাড়ার এক অভিভাবক রাজু বিশ্বাসের কথায়, গতকাল দেখলাম দরজা জানালা বন্ধ করে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। পাশের মুর্শিদাবাদে প্রতিবছর গরমে সকালেই স্কুল হয়। নদিয়াতে নয় কেন? অবিলম্বে সকালে স্কুল করার দাবি জানাচ্ছি।