করোনা টিকা ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশের দাবিতে মামলা, কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

করোনার ভ্যাকসিন

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনা টিকা ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশের দাবিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং ঋষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়।

‎শীর্ষ আদালত বলেছে যে তারা পিটিশনের উপর বিজ্ঞপ্তি জারি করছে তবে টিকাকরণ সম্পর্কে জনগণের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চায় না। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বলেছে, ‘কারণ ভ্যাকসিন সন্দেহ ইতিমধ্যেই সমস্যা সৃষ্টি করছে। দেশটি ভ্যাকসিনের ঘাটতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, টিকা অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা এটি বন্ধ করতে চাই না।’‎

‎সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল এবং টিকাপরবর্তী তথ্য প্রচার করার জন্য একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। আদালত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের নোটিশ পাঠিয়েছে এবং চার সপ্তাহের মধ্যে সকলকে জবাব দাখিল করতে বলেছে। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ড. জ্যাকব পুলিয়েল সুপ্রিম কোর্টে আবেদনটি দায়ের করেছেন।‎

ভারতে এখনও অনেক মানুষ টিকা নিতে অনিচ্ছুক। টিকার কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ থাকায় এই অনীহা প্রকাশ। এর প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল টেকনিকাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের সাবেক সদস্য ড. জেকব পুলিয়েলের পক্ষ থেকে এই মামলা দায়ের করা হয়।

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মামলাটি ড. জেকবের হয়ে লড়ছেন।

‎আবেদনকারীর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে বলেন, আইসিএমআর সহ সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার নিয়ম রয়েছে যে ভ্যাকসিনের তথ্য দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা জনসমক্ষে তথ্য প্রকাশের দিকে নজর দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি না যে টিকা করণ বন্ধ করা উচিত, তবে ট্রায়াল ডেটা জনসমক্ষে আনা উচিত।’‎

আদালত এদিন বলে, ‘মামলার শুনানি হলে এই বার্তা যাওয়া উচিত নয় যে, টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশে টিকা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।’

এর জবাবে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘দেশে প্রথমবার জরুরি ভিত্তিতে কোনও টিকার প্রয়োগ চলছে। পুরো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া এর আগে কখনও এরকমটা হয়নি।’

কয়েকদিন আগেই ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কার্যকারিতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা-সহ অন্যান্য মানদণ্ড মাথায় রেখেই করোনার টিকা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশে শিশুদের টিকাকরণের ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়াল চলাকালীন শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি সবার আগে নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সীদেরও যাতে দ্রুত টিকা দেওয়া যায়, সরকার সর্বাত্মকভাবে সে চেষ্টাও করছে।