এনআইআইটিতে ৬৩৯ নম্বর পেয়েছে মুর্শিদাবাদের কৃষক পরিবারের সন্তান; স্বপ্ন চিকিৎসক হয়ে নিজের গ্রামের মানুষের সেবা
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা অর্থাৎ এনআইআইটি ইউজি ২০২০-এর ফলাফল। এবছর রাজ্যের সংখ্যালঘু পরিচালিত বিভিন্ন নিট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে চমকপ্রদক ফলাফল করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। কলকাতা পার্কসার্কাসের কড়েয়া রোডের আলামিন কোয়েস্ট একাডেমী থেকে সারা দেশের মধ্যে ৬৩৯ নম্বর পেয়ে প্রশংসিত হয়েছেন আল আমিন হোসেন। সারা ভারতে তাঁর র্যাংক ৬১২৭। হোসেনের স্বপ্ন কলকাতার মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে একজন ভাল চিকিৎসক হয়ে নিজের গ্রামের মানুষের সেবা করা।
২০ বছর বয়সি আল-আমিন হোসেন এর বাবা আনোয়ার হোসেন পেশায় কৃষক। তাদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী থানা এলাকার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল চন্ডী গ্রামে। কৃষক আনোয়ারের দুই পুত্রের মধ্যে একজন অর্থাৎ আল আমিনের দাদা এম এস সি পাশ করেছেন অংকে কিন্তু এখনো পর্যন্ত পাননি সরকারি চাকরি। তাই আনোয়ারের ইচ্ছে ছিল তার ছোট ছেলে আল আমিন ডাক্তারি পাস করুক। যদিও ছেলেকে ডাক্তারি পড়তে যেতে আর দেখতে পারেন পারলেন না তিনি। গতবছর পরলোকগমন করেছেন আনোয়ার। তবে বাবার ইচ্ছের কথা মাথায় রেখে নিজের লক্ষ্যে অটল আল আমিন হোসেন। চন্ডী গ্রামের মতো একটি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জীবনে চিকিৎসা সমস্যা খুবই প্রকট। সেই সমস্যা ঘোচাতে ডাক্তার হয়ে নিজের গ্রামের মানুষের সেবা করতে পারাটাই হোসেনের একমাত্র স্বপ্ন।
আল আমিন হোসেন উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন আল-আমিন মিশনের আবাসিক স্কুল থেকে। উচ্চমাধ্যমিকের পর সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি কিন্তু প্রথমবার অসফল হন। তাই নিজেকে আরো ভালো করে করার জন্য ভর্তি হন পার্কসার্কাসের আল আমিন কোয়েস্ট একাডেমিতে। এরপরই লাগাতার পরিশ্রমের পর এই সাফল্য অর্জন করেন তিনি।