Highlightদেশ

পাঞ্জাবে ভোট হবে ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বেই

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সিধু বনাম অমরিন্দর শিবিরের লড়াই । সেই লড়াইয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ‘অমরিন্দর হঠাও’য়ের দাবি তুলেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর ঘনিষ্ঠরা। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার দলের প্রবীণ নেতা হরিশ রাওয়াত জানিয়ে দেন, ”ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বেই আমরা ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।” তবে দলের অন্দরে এমন লড়াইয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিজেপির মায়া ত্যাগ করে কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজোৎ সিং সিধু।সেটা অবশ্য বেশিদিন হয়নি। তারপর থেকেই ঠাণ্ডা লড়াই শুরু অমরিন্দর ও সিধুর মধ্যে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যেখানে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে ময়দানে নামতে হয়। আর সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে অনেকেই মনে করেছিলেন, তাহলে হয়তো মিটল দুই হেভিওয়েটের ঝামেলা। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সবাই কার্যত বুঝে গিয়েছিলেন, ‘দিবাস্বপ্ন’! সম্প্রতি সিধুর পরামর্শদাতা মালবিন্দর সিং মালি একটি ট্যুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ”কাশ্মীর একটি পৃথক দেশ।” ব্যস! আর যায় কোথায়! বিরোধীরা তো বটেই, সমালোচনা করে স্বয়ং কংগ্রেস শিবিরও। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, ”যে বিষয়ে জ্ঞান কম কিংবা জ্ঞান নেই কিংবা তার অন্তর্নিহিত অর্থ সম্পর্কে কোনও বোধ নেই, সেই সমস্ত বিষয়ে মুখ না খোলাই ভাল।”

এরপরই অমরিন্দরের বিরুদ্ধে সরব হন ৪ মন্ত্রী সহ ২৩জন বিধায়ক। দাবি জানান, অমরিন্দর হঠাও। মঙ্গলবার সেই একই দাবি তোলেন বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষুব্ধ তৃপ্ত বাজওয়া বলেন, ”ক্যাপ্টেনকে সরানো দরকার। নাহলে কংগ্রেস টিকে থাকবে না। এই বিষয়ে আমরা দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও কথা বলব।” ড্যামেজ কন্ট্রোলে মাঠে নামেন দলের প্রবীণ নেতা হরিশ রাওয়াত। পঞ্জাব কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াত জানিয়ে দেন, ‘আগামী বিধানসভা ভোটে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে সামনে রেখেই লড়বে দল।’ মূলত মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী শিবিরের বিদ্রোহকে যে দল গুরুত্বই দিচ্ছে না তা বোঝাতেই রাওয়াত এমন বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

Related Articles

Back to top button
error: