টিডিএন বাংলা ডেস্ক: দিনের আলোতে প্রকাশ্য রাস্তায় পথচারীদের চোখের সামনে ধর্ষিতাকে তাড়া করে ঠান্ডা মাথায় নির্মম ভাবে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ধর্ষক এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আর গোটা খুনের ঘটনাটা নীরবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল উপস্থিত জনতা। খুনিদের হাত থেকে বাঁচতে আপ্রাণ চেষ্টা করে ওই তরুণীটি। হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে তরুণীটি দীর্ঘক্ষণ আর্তচিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসার সাহস করেনি। মঙ্গলবার সকালে এমনই ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি নামক এলাকার মানুষ। ধর্ষিতাকে কুপিয়ে খুন করার পর অভিযুক্তরা নিরাপদে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েও যায়। পরে পথচারীরাই পুলিশে ফোন করে এই হত্যাকান্ডের কথা জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে ওই ধর্ষিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম পবন এবং তার ভাইয়ের নাম অশোক নিশাদ। তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় তারা দাগি আসামি হিসেবেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, পবনের ভাই অশোক অন্য একটি খুনের মামলায় জেলে ছিলেন। দিন দুয়েক আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। পবনও সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়েই তারা নির্মম ভাবে হত্যা করে ধর্ষিতাকে। এখনও পর্যন্ত ওই অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে ৩ বছর আগে। যখন ওই ধর্ষিতা তরুণী তাকে ধর্ষণের অভিযোগে দাগী আসামী হিসাবে পরিচিত পবনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করে। তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তার পর থেকেই তরুণী এবং তাঁর পরিবারকে নানা রকম ভাবে উত্ত্যক্ত করছিলেন পবন এবং সঙ্গীরা। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষনের মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ তরুণীর পরিবারের। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশে এটাই প্রথম নয়। গত কয়েক বছরে অসংখ্য ধর্ষণ ও ধর্ষিতাদের নির্মম ভাবে হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে।