HighlightNewsখেলাদেশ

যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক ব্রিজভূষণের পাশে অযোধ্যার সাধুরা! 

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও ভিন্ন চিত্র রাম জন্মভূমি অযোধ্যায়। সেখানে সাধু সমাজের একাংশ মনে করে বিজেপি সাংসদ নির্দোষ। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগে জেলে পোরার চেষ্টা হচ্ছে।

এখানেই থেমে না থেকে সোমবার সরযূ নদীর তীরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে সাধু সমাজ। ব্রিজভূষণের লোকসভা কেন্দ্র কেইসরগঞ্জ হল অযোধ্যার লাগোয়া। রাম জন্মভূমির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগও দীর্ঘদিনের। রামমন্দির আন্দোলন ও বাবরি মসজিদ ধ্বংসে মুখ্য করসেবকদের একজন তিনি। অযোধ্যায় সাধু সমাজকে নিয়মিত দানধ্যান করে থাকেন তিনি।

ব্রিজভূষণ কেন হঠাৎ করে অযোধ্যার সাধু সমাজের দ্বারস্থ হলেন তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও চর্চা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শেই বৃহস্পতিবার অযোধ্যায় পৌঁছে গেছেন কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা। কারণ, বৃহস্পতিবারই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার একাধিক প্রভাবশালী কৃষক সংগঠন কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের ধাঁচে কুস্তিগীরদের আন্দোলনের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছে। দিল্লি অভিযান আগেই শুরু করেছে কয়েকটি সংগঠন। আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের অন্যতম উপদেষ্টা এখন কৃষক নেতা মহেন্দ্র সিং টিকায়েত। তাই পাল্টা অযোধ্যার সাধু সমাজকে পাশে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নেতা। যদিও অযোধ্যার বিজেপি নেতা সঞ্জয় শুক্লার বক্তব্য, সোমবারের সভার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা সাধু সমাজের বিষয়।

দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর এই নেতার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি। কেন্দ্রের ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বৃহস্পতিবারই বলেছেন, বিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি স্পর্শকাতর। তদন্তে আরও সময় লাগবে। কিন্তু ব্রিজভূষণকে নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় জোরালো প্রশ্ন উঠেছে অভিযোগকারীদের একজন নাবালিকা এবং সেই কারণে পকসো আইনে মামলা হলেও কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। ওই আইনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেরা করার কথা।

দেখা যাচ্ছে, অযোধ্যার সাধু সমাজ পকসো নিয়েই বেশি সরব। তাঁদের বক্তব্য, ব্রিজভূষণ একজন সজ্জন, সচ্চরিত্র, পুরোদস্তুর ধার্মিক মানুষ। পকসো ধারায় মামলা দিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। ব্রিজভুষণ বৃহস্পতিবার অযোধ্যায় একাধিক প্রভাবশালী সাধুর সঙ্গে বৈঠক করেন। সরযূর তিরে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মণ কিলা মন্দিরের। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খণ্ডন করতে নেমে পড়েন সাধুরা। সূত্র – দ্য ওয়াল

Related Articles

Back to top button
error: