স্কুলে একটি মাত্র শিক্ষক, তাই স্কুল ছেড়েছে পড়ুয়ারা! অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুল বাঁচানোর নির্দেশ আদালতের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: স্কুলে আছেন শুধুই একজন মাত্র শিক্ষক। স্বভাবিক ভাবেই সেখানে পড়াশোনা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই ইতিমধ্যেই স্কুল ছেড়েছে সব পড়ুয়ারাই! স্কুলের বেঞ্চগুলোতে ধুলো জমেছে, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত ক্লাসরুমে নেই পড়ুয়াদের কোলাহল, নেই চিত্‍কার, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বকাঝকা। আর এত দিন ধরে সেই বিরান স্কুল আগলে পড়ে রয়েছেন ওই স্কুলের এক মাত্র শিক্ষিকা। তবে বিরান স্কুল আবাদ হওয়ার কোনো লক্ষণ না দেখতে পাওয়ায় এবার তিনিও আর সেখানে থাকতে চাননা। এখন তিনি সেখান থেকে অন্যত্র বদলির চেষ্টা করছেন। এমনই একটি স্কুলের সন্ধান পাওয়া গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জে। আর হিঙ্গলগঞ্জের ওই স্কুলকে বাঁচাতে এবার উদ্যোগী হল খোদ কলকাতা হাই কোর্ট। অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে ও স্কুলটি বাঁচানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি চার সপ্তাহের মধ্যে তারা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানিয়াছেন।

ওই স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অন্যত্র বদলির দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলা যায় বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ২০০৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জে তৈরি হয় মাধবকাটি রমাপুর জুনিয়র হাই স্কুল। কিন্তু স্কুল তৈরি হলেও শিক্ষক শিক্ষিকার অভাব ছিলই। কমতে কমতে বছর তিন আগে এই স্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যা এসে ঠেকেছে মাত্র একে। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বলেন, যেহেতু ওই স্কুলে কোন পড়ুয়া নেই, তাই ওই শিক্ষিকাকে ওখানে আটকে রাখা যাবে না। শুধু তাই নয়, একটা স্কুল বাঁচাতে কী করা হয়েছে সেই নিয়েও স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চান বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে শিক্ষা দফতর ওই স্কুলটিকে বাঁচানোর জন্য ব্যবস্থা নেবে। কী কী করা হল তার রিপোর্টও জমা দেবে এক মাসের মধ্যে।