HighlightNewsআন্তর্জাতিক

এবার বরখাস্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী, আলোচনায় বসার আহ্বান আন-নাহদার

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ রবিবার তিউনিশিয়ার রাজধানীতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত ও পার্লামেন্ট স্থগিত করেছিলেন। এবার তিউনিশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও বরখাস্ত করলেন তিনি। প্রেসিডেন্টের এসমস্ত বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ফলে তিউনিশিয়ায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তাঁর এই একনায়কতান্ত্রিক সিদ্ধান্তকে অভ্যুত্থান বলে আখ্যা দিয়েছে নির্বাচনে বিজিত হওয়া আন-নাহদা পার্টি। তারা একে আন-নাহদা পার্টির বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। অন-নাহদা পার্টি মনে করে বৈদেশিক চক্রান্তের ফলে প্রেসিডেন্ট এ ধরনের অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে আন-নাহদা পার্টি প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের রাস্তায় না হেঁটে প্রেসিডেন্ট ও সরকার বিরোধীদের আলোচনায় আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিউনিশিয়ার এই উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক ও ইরানের মতো মুসলিম দেশ গুলি। তারা তিউনিশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, আরব বসন্তের ফলে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র উৎখাত করে তিউনিশিয়াতে ইসলামপন্থী দল আন-নাহদা পার্টি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে। বলা হয়ে থাকে আন-নাহদা পার্টি মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনের ভাবধারার বিশ্বাসী। আন-নাহদা পার্টির অভিযোগ, ‘এই কারণে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে যায় প্রথম থেকেই।’ এরই অংশ হিসেবে রবিবার রাজধানীতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। সরকার বিরোধীদের আহ্বানে প্রেসিডেন্ট সাঈদ তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হলো। এছাড়া এক মাসের জন্য তিউনিশিয়াতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। আল জাজীরা অফিসও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রেসিডেন্ট সাঈদ তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার পরিচালনা করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তবে এখনই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন-নাহদা। বরং তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। কারণ তারা মনে করে বিক্ষোভ পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে।তাতে ক্ষতি হবে তিউনিসিয়ার জনগণেরই। তিউনিসিয়ার রাজনীতি এখন কোনো কোন দিকে গড়ায় সে দিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক।

Related Articles

Back to top button
error: