বিজেপির সঙ্গে আতাঁত রয়েছে ট্যুইটারের, অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ায় সুর চড়ালেন রাহুল

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দেশের রাজনীতিতে পক্ষ নিচ্ছে ট্যুইটার। ট্যুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করার প্রতিবাদ জানিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। তাঁর আরও অভিযোগ, দেশের রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে ট্যুইটার। একটি ‘হ্যাশট্যাগ’ প্রচারও করেছে কংগ্রেস- ‘বিজেপিসে ডর গ্যয়া’।

ট্যুইটারে তিনি বেশ ভোকাল। ভালো কোনও ঘটনা কিংবা খারাপ কিছু সবই তুলে ধরেন এই সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু সেই ট্যুইটারই রাহুলের অ্যাকাউন্ট রাতারাতি ব্লক করে বলে অভিযোগ। শুধু তিনি নন। কংগ্রেসের বহু প্রথম সারির নেতারই অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়। এই ঘটনাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যা দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি বলেন, “এটা কেবল রাহুল গান্ধির উপর আক্রমণ বা তাঁকে চুপ করানোর চেষ্টা নয়। এটা দেশের গণতন্ত্রের উপরই হামলা।”

নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন সোনিয়া তনয়। নাম দেন, টুইটার’জ ডেনজারাস গেম।ওই ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ”আমার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার প্রায় ২ কোটি ফলোয়ার। আমাকে আমার মতামত রাখতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজনীতিতে নাক গলানো হচ্ছে।” পাশাপাশি ট্যুইটারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ”একটি সংস্থা ব্যবসা চালাতে গিয়ে রাজনীতির সংজ্ঞা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আর সেটা আমি পছন্দ করছি না।”

রাহুল গান্ধির অভিযোগ, দেশের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। বিরোধীদের সংসদে মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছেনা। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আমরা ট্যুইটার সম্পর্কে যা ভাবি সেই বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা উচিত। ট্যুইটার নিজেই প্রমাণ করছে যে আসলে তারা নিরপেক্ষ নয়, উদ্দেশ্যমূলক প্ল্যাটফর্ম। পক্ষপাতদুষ্ট প্ল্যাটফর্ম। সরকার যা বলে এরা সেইমতই চলে।
রাহুলের প্রশ্ন, “ভারতীয় হিসাবে, আমাদের প্রশ্ন করতে হবে: আমরা কি এইসব কোম্পানিগুলিকে অনুমতি দিচ্ছি কারণ তারা আমাদের জন্য আমাদের রাজনীতির সংজ্ঞা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে দেখছে? অথবা আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি সংজ্ঞায়িত করতে যাচ্ছি? এখানেই আসল প্রশ্ন।”