রাজ্য

উন্নয়নের বার্তা দিতে এসে অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন সাঁইথিয়ার বিধায়ক

কৌশিক সালুই, টিডিএন বাংলা, বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তা দিতে এসে অনুন্নয়ন নিয়ে এলাকাবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন বিধায়ক। তাদের অভিযোগ বিধায়ক সদুত্তর না দিয়েই চলে গিয়েছেন। যদিও বিধায়ক সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নীলাবতী সাহা, সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়ক। বুধবার সিউড়ি ২ ব্লকের কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংটে গ্রামে গিয়েছিলেন বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে যোগদান করতে। সঙ্গে ছিলেন এলাকার স্থানীয় কর্মী ও নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ১০ বছরের কাজ কর্মের খতিয়ান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। গ্রামের বিষহরি মন্দির থেকে শুরু হয়েছিল সেই কর্মসূচি। কিন্তু গ্রামের বৈদ্যপাড়া যেতেই হঠাৎ ঘটে গেল ছন্দপতন। সংশ্লিষ্ট গ্রামের বেশ কিছু মানুষজন সরকারি প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়া নিয়ে একে একে প্রশ্ন করলেন বিধায়ককে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ বাম আমলেও তারা বঞ্চিত হয়েছেন। এখনো তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রয়োজন নেই অথচ গ্রামের অনেক মানুষ জন তারা সরকারি প্রকল্পের বাড়ি ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে কিন্তু যারা প্রকৃত প্রাপক তারা এখনো পর্যন্ত বঞ্চিত। বিধায়ককে কাছে পেতে বঞ্চিত কিছু মানুষজন তাদের অনুন্নয়নের বিষয়টি জানাতে চান।

যদিও তাদের দাবি গুরুত্বসহকারে বিধায়ক বিষয়টি দেখেননি, সঙ্গে থাকা দলের কর্মী ও স্থানীয় নেতৃত্বরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষী বৈদ্য, যুথিকা বৈদ্য, দেবু বৈদ্যরা বলেন, বাম আমলেও বঞ্চিত হয়েছি এখনো বঞ্চিত হচ্ছি। গ্রামের যারা প্রকৃত প্রাপক নয় তারা সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাচ্ছে। অথচ আমরা পাচ্ছি না। বিধায়ককে কাছে পেলে বলার চেষ্টা করলাম কিন্তু সেভাবে সদুত্তর পেলাম না। প্রশ্ন করতেই আমাদের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে চলে যাওয়া হল তাকে”। বিধায়ক নীলাবতী সাহা বলেন,” বাংলা আবাস যোজনা বাড়ি পাবেন সকলেই! সমস্ত পরিবারের ইতিমধ্যেই সমীক্ষা হয়েছে। যথাসময়ে আরা তাদের প্রাপ্য পেয়ে যাবেন”।

Related Articles

Back to top button
error: