তমলুক কেন বঞ্চিত?
সারওয়ার হাসান: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। তৃণমূলের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দেবাংশু ভট্টাচার্য যার বাড়ি কলকাতার বালিতে।
বামফ্রন্টের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন সায়ন ব্যানার্জি, যার বাড়ি কলকাতা। বিজেপির প্রার্থী যতদূর সোনা যাচ্ছে অভিজিৎ গাঙ্গুলি, তিনিও কলকাতার বাসিন্দা।
এখন প্রশ্ন হলো এই দল গুলো কি তমলুক থেকে কাউকে প্রার্থী পেলনা ? এই দল গুলো স্থানীয় কর্মী ও নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারলনা? নাকি ইচ্ছকৃত ভাবে এখানকার নেতৃত্বকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে?
তমলুক ঐতিহাসিকভাবে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূমি। পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করার অন্যতম সংগ্রামী নেতৃত্বের ভূমি। প্রথম জাতীয় সরকার গঠন করার ভূমি। সবাই জানি, ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে এটি ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমান্তরাল জাতীয় সরকার। সর্বাধিনায়ক ছিলেন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। এই সরকারের বিভিন্ন বাহিনী গঠিত হয়। এই জাতীয় সরকার সে সময় পৃথক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। আইন-শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার, কৃষি, প্রচার, সমর ইত্যাদি বিভাগে
পৃথক পৃথক সচিব নিয়োগ করা হয়েছিল। সমর ও স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন সুশীল কুমার ধাড়া।
সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিচরণ ভূমিতে ভূমিপূত্রদের বঞ্চনা ইতিহাস ক্ষমা করবেনা। একদিন তমলুক এর জবাব দেবেই।