জম্মুতে সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ : ড্রোন হামলার দাবি তদন্তে এন আই এ
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভারতের বর্তমান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মুতে বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর সামরিক ঘাঁটিতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয় ড্রোনের সাহায্যে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জম্মু বিমানবন্দরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে রাত ১টা ৩৭ মিনিটে। এর ৬ মিনিট পর রাত ১টা ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। একটি বিস্ফোরণে ওই স্টেশনের কারিগরি শাখার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ এই ঘটনায় উইং অফিসার অরবিন্দ সিংহ ও লিডিং এয়ারক্র্যাফ্টম্যান এসকে সিং আহত হন। কিন্ত কেউই গুরুতর আহত না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে এই বিস্ফোরণের পরেই আম্বালা, পাঠানকোট ও অবন্তিপুরা বিমান ঘাঁটিতে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। ড্রোন হামলার খবর সঠিক হলে সম্ভবত এটাই হবে ভারতের কোনো সেনা স্থাপনায় প্রথম ড্রোন হামলার ঘটনা। বিভিন্ন সূত্রের খবর তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারগুলোকেই টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। জানা গিয়েছে এনআইএ কে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বোমা বিশেষজ্ঞ, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে কিভাবে ঢুকে পড়ল ড্রোন তা চিন্তায় ফেলেছে গোয়েন্দাবাহিনীকে। কোনো জঙ্গি সংগঠন এখনো পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। যদিও দুইজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে জম্মু পুলিশ। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান দিলবার সিং মনে করেন, ‘এটি একটি জঙ্গী হামলা।’ উল্লেখ্য যে, কয়েকদিন আগেই জম্মু কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এছাড়া লাদাখ নিয়ে সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আরো একটি বৈঠকের কথা আছে। এমন সময়ে এই হামলা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল।