বিনোদনসাহিত্যসাহিত্য ও সংস্কৃতি

জীবন পথের বাঁকে লুকিয়ে থাকা অনুভুতি নিয়ে মোঃ নূরুদ্দিনের ছোটো গল্প, “ছিন্ন কুসুম”

ছিন্ন কুসুম

মুহাম্মাদ নূরুদ্দীন

—–ক্রিং ক্রিং ক্রিং …
কলিংবেলের আওয়াজ শুনে তড়িঘড়ি দরজা খুলে বাইরে এলেন হানিফ সাহেব। —-আরে কাগজওয়ালা-যে। দাও দাও দেখি আজকের কি খবর আছে।
খালি চোখে কাগজের হেডিং এর দিকে তাকিয়েই একবার চোখ কোচলে নিলেন। আরো একবার কাগজের দিকে তাকিয়ে বললেন, নাহ, চোখের বারোটা বেজে গেছে। কাগজের বড় বড় হেডিংও এখন ঝাপসা দেখায়।
—এই চশমাটা দাওতো
—- দাঁড়াও; আমার চশমা পাচ্ছি না তো তোমার চশমা কি করে খুজবো। হ্যাঁ, এই তো পেয়েছি। বলেই আস্তে আস্তে হানিফ সাহেবের দিকে চশমাটা এগিয়ে দিল হাসিনা বিবি।
সাজানো-গোছানো দালানবাড়ীতে স্রেফ দুটি প্রাণী। হানিফ সাহেব ও হাসিনা বিবি। দুইজনের এখন তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে। চশমাটা হাতে দিয়ে বাইরের দিকে বেরিয়ে গেলেন হাসিনা বিবি। তখনো শীতের হালকা আমেজ আছে। ফাল্গুনী সকালের নরম রোদ আর শীতল স্নিগ্ধ ফুরফুরে হাওয়া হাসিনার মনটাকে কেমন যেন আনমনা করে দেয়। বাড়ির বাইরে রক্তকরবীর আকুল হাতছানি। দূরে কৃষ্ণচূড়া আর শিমুল ফুলের লালিমা যেন আকাশ কেও রাঙিয়ে দিয়েছে। হাঁসের বাচ্চাগুলো সারি দিয়ে এক এক করে নেমে গেলো খিড়কীর পুকুরে। ভাঙাচোরা সান বাঁধানো ঘাটের একপাশে বসে পড়লো হাসিনা বিবি। এরকম নির্জনতা পেলে তার মন কেমন যেন উদাস হয়ে যায়। হু করে ঝড় বইতে থাকে হৃদয়ের গভীরে।
—- আমার সোনার মানিকরা। কেমন আছো তোমরা? কোথায় আছো? কোন সুদূরে? কি করছো? চারিদিকে যা বিপদের খবর শুনছি তোমরা ভালো আছ তো! আল্লাহ তোমাদের ভালো রাখুন। তোমাদেরকে হেফাজত করুন।
গভীর চিন্তার অতলে ডুব দেয় হাসিনা বিবি। হঠাৎ পুকুরের মাঝে হাঁসের প্যাক প্যাক আওয়াজে চটকা ছাড়ে হাসিনা বিবির। আঁচলে চোখ মুছে উঠে পড়ে।

খবরের কাগজ হাতে নিয়ে আবার জায়নামাজে ফিরে আসেন হানিফ সাহেব। এটাই তার নিত্যদিনের অভ্যাস। বছরখানেক হলো আর মসজিদে যেতে পারেন না। ফজরের নামাজটা বাড়িতেই পড়েন। নামাজ শেষে বসেই চলতে থাকে সুমধুর কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত। নিজে নিজেই পাঁচ পারার হিফজ করেছেন। প্রতিদিন ফজর শেষে জায়নামাজে বসে সেগুলি মস্ক করেন তিনি। তারপর তসবি তাহলীল, আয়াতুল কুরসি, সূরা ইয়াসিন পড়তে পড়তে বেলা হয়ে যায়।
কাগজের প্রথম পাতাতেই চোখ আটকে যায় তার। চশমাটা একবার ভালো করে মুছে নিয়ে আবার ভালো ভাবে চোখ বড় করে দেখার চেষ্টা করে। হ্যাঁ! হাফিজ, হাফিজইতো। আমার হাফিজ, আমার হাফিজ বলে কাগজটা মুখের কাছে ধরে একনাগাড়ে চুমু খেতে থাকে। বুকের মধ্যে নিয়ে আলিঙ্গন করে ছবিতে।

বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের এক অশীতিপর বৃদ্ধ। খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রথম পাতার একটি খবর ও ছবি দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। চোখ দিয়ে অনর্গল নেমে আসছে অশ্রুধারা। হৃদয়তন্ত্রীতে তখন এক অন্য রকম ঝড়। তার একমাত্র কলিজার টুকরার ছবি বেরিয়েছে খবরের কাগজে। কি সুন্দর চেহারা। কি সাহসী বলিষ্ঠ মুখ। হানিফ সাহেব তখনও ছবিটির দিকে অপলক তাকিয়ে।

এরইমধ্যে মনের অজান্তে চলে যায় সুদূর অতীতের কোন এক সকালে। ফজরের আজান হয়েছে। তবুও ঘুম থেকে উঠতে চায়নি হাফিজ। ডাকাডাকি করে গোটা বাড়ি জাগিয়ে দিয়েছিল হানিফ সাহেব। “আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম” শুনেও কেউ বিছানায় শুয়ে থাকবে এটা হানিফ সাহেব একদম সহ্য করতে পারতেন না। ছেলে হাফিজকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মসজিদে। মসজিদ থেকে ফিরে হাফিজকে নিয়েই বসে ছিল কোরআন তেলাওয়াত করতে। সেদিন কেন যেন মনে হয়েছিল হাফিজকে বড় কোন মাদ্রাসায় পড়াতে হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। হায়দ্রাবাদের দারুল হিকমা ছিল তার খুব পছন্দ। সে শুনেছিল সেখানে যেমন কুরআন হাদিস পড়া হয় অতি যত্ন সহকারে তেমনি ইংরেজি, বিজ্ঞান, অংক শেখানো হয় যুগোপযোগী করে।

একমাত্র ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে বুক কেঁপে ছিল তার। বাবা মাকে কদমবুচি করে যখন বের হতে যাবে হাফিজ তখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি হাসিনা বিবি। ছেলের যাত্রা পথের দিকে তাকিয়ে বুক ভাসিয়ে ছিল সে। হানিফ সাহেব বিবি কে অনেক বুঝিয়েছিলেন।
— আমাদের গ্রাম বাংলায় ভালো মাদ্রাসা নেই। এখানকার পরিবেশ ভালো না। ছেলেটা বাইরে থেকে লেখাপড়া শিখলে মানুষের মত মানুষ হবে। এক দিন সে শিক্ষিত হয়ে সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে।

ছেলের ভালো কে না চায়। তাই বুকে পাথর বেঁধে মাদ্রাসায় যেতে দিয়েছিল হাসিনা বিবি। একরাশ আশা ছিল বুকে। ছেলে আলেম হয়ে দেশে ফিরবে । ওয়াজ নসিহত করে মানুষকে সৎ পথে চলতে শেখাবে। বড় হুজুরের মত তার ছেলের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়, ছেলের পথ চেয়ে বসে থাকে হাসিনা বিবি, ছেলের দেশে ফেরা আর হয় না।

প্রথমবার যখন বড় একটা পরীক্ষায় পাশ করে বাড়ি ফিরে ছিল তখন মায়ের পাশে বসে অনেক গল্প করেছিল হাফিজ। বলেছিল, মা! আর দুইটা বছর। তারপর বাড়িতে আসবো, তোমাদের সঙ্গে সারা জীবন থাকবো।
২বছর, ৪বছর, ৬ বছর হয়ে গেল। ছেলে হায়দ্রাবাদ থেকে মিশর হয়ে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়। দুটি মানুষের ৪ জোড়া চোখ পথের দিকে অবিরাম চেয়ে থাকে। দিন-রাত, সকাল-দুপুর-বিকাল তাদের সারা প্রহর জুড়ে আছে হাফিজ হাফিজ আর হাফিজ। বাড়িতে আত্মীয় স্বজন এলে হাফিজের কথা আর শেষ হয়না। পাড়া-প্রতিবেশী সবাই হাফিজের খোঁজ নেয়। তাদের কাছে ছেলের কথা বলতে পেরে কেমন যেন পুলক অনুভব করে হানিফ সাহেব। একদিকে ছেলের সাফল্যে বুকভরা গর্ব। অন্যদিকে দুটি প্রাণীর খাঁ-খাঁ করা সংসারে নির্জনতার নিরব হাহাকার।

—- হাফিজের মা এসো এদিকে এসো। দেখো দেখো– তোমার ছেলের ছবি বেরিয়েছে কাগজে। এতেও হাসিনা যেন তেমন উত্তাপ অনুভব করলেন না। ছেলের ছবি তো কাগজে প্রায় আসে।
একটু ঝুঁকে কাগজটা তুলে নেয়। তারপর কাপড়ে মুখ গুঁজে নিরবে চলে যায় পাশের ঘরে।
হাসিনা বিবির নিরুত্তাপ নীরবতা বড় বিপদে ফেলে হানিফ সাহেবকে। নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়।

মদিনা শহরের কোলাহল আর সারিবদ্ধ গাড়ির পিছু ধরে এগিয়ে চলেছে একটি ছোট্ট সাদা মারুতি। গাড়ি ভর্তি উপহার আর উপহার। আজ পরম গর্বের দিন হাফিজের। বিজ্ঞান গবেষণায় রাবেতা আলম ইসলাম থেকে অনন্য স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ করেছে সে। কুরআন হাদিসের সঙ্গে বিজ্ঞান শেখার জন্যই হাফিজকে হায়দ্রাবাদে পাঠিয়েছিল হানিফ সাহেব। সেই বিজ্ঞান গবেষণা হাফিজকে এনে দিয়েছে অনন্য কৃতিত্ব। বড় রাস্তা ছেড়ে বাসার পথে বাঁক নিলো সাদা মারুতি। দুই ধারে সুরম্য অট্টালিকার শারি। ঝাঁ-চকচকে সুন্দর সাজানো ফুলের মত শহর মদিনা। অত্যাধুনিক ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা। কোথাও কোনো জাম নেই। অপূর্ব সুন্দর এই শহর। কিন্তু কোন দিকে খেয়াল নেই হাফিজের। এত অর্থ, এত পুরস্কার, এত সম্মান কোন কিছুই আর তাকে বেঁধে রাখতে পারছে না। তার মন পড়ে আছে সুদূর গ্রামবাংলার ছোট্ট এক পর্ণ কুটিরে। আব্বা মায়ের সজল করুন মুখ ভেসে ওঠে মনের প্যানোরামায়।
— স্যার!₹
ড্রাইভারের ডাক শুনেই সম্বিত ফিরে পায় হাফিজ।
— ও এসে গেছি। আচ্ছা গাড়ি থেকে নেমে ধীরে ধীরে লিফটের দিকে এগিয়ে যায় সে।

আজ খুশির দিন আনন্দে হই হুল্লোর করার দিন। আকমাল, ওয়াসিফা সারাক্ষণ অনলাইনে তার আব্বাজির সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠান দেখেছে। আফসানা সুন্দর করে পরিপাটি করে রেখেছে ঘরবাড়ি। সালাম নিয়ে ঘরে ঢুকলো হাফিজ।
—ওয়ালাইকুম আসসালাম বলে ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী সবাই এগিয়ে এলো। ততক্ষণে ড্রাইভার উপহার সামগ্রী নিয়ে গেটের সামনে চলে এসেছে। আফসানা স্বর্ণ বাঁধানো আরবি অক্ষরে লেখা শংসাপত্রটি বারবার করে পড়ল। ছেলে মেয়ে উপহার সামগ্রীগুলি দেখছে আর আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছে।
আফসানার নজর পড়ল হাফিজের দিকে। কেমন যেন বিহ্বল হয়ে পড়েছে সে।
—- কি শরীর খারাপ লাগছে?
—-না; আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
—-তুমি চেঞ্জ করে একটু ফ্রেশ হয়ে নাও আমি নাস্তা খাবার নিয়ে আসছি।

হাফিজ সোফায় বসে থাকলেন। এত সম্মান, এত উপহার, এত আলোর রোশনাই, এত কোলাহল সবকিছুর মাঝে থেকেও কেমন যেন মাঝে মাঝে কোন এক অদৃশ্য জগতে হারিয়ে যায় সে। হঠাৎ হঠাৎ আনমনা হয়ে পড়ে। মুহুর্মুহু মন উড়ে যায় সুদূর গ্রাম বাংলার সেই পর্ণকুটিরে।

—- মা…মা…মা… । কেমন আছো তোমরা? কি করছো? আব্বাজীর শরীর কেমন? অস্থির চঞ্চল হয়ে ওঠে হাফিজের মন। নিজের অজান্তেই মাথার চুল ধরে টেনে ছিঁড়ে ফেলতে চায়।

নাস্তা নিয়ে প্রবেশ করে আফসানা। স্বামীর এই অবস্থা দেখে একদম বিচলিত হয়নি সে। বিগত বছর দশেক ধরে সে একই দৃশ্য দেখে আসছে। সে-ই সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ডায়াল করে। আওয়াজ আসে আপনি যে নাম্বারে ডায়াল করেছেন এখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। হতাশ হয় আফসানা। এই একটাই ওষুধ হাফিজকে ঠিক করার। কি অদ্ভুত! বিদেশে থেকেও বাড়িতে মন পড়ে আছে সারাক্ষণ। অথচ নিজে থেকে কোনদিন একটা ফোনও করবে না। বলে ফোন করতে তার নাকি ভয় লাগে। আব্বা মা তো কোনদিন তাদের কষ্টের কথা বলেন না। তারা যখন বলে ‘ভালো আছি বাবা’ তখন তার মন ডুকরে কেঁদে ওঠে। তোমরা কেমন ভালো আছো তাতো জানি বাবা। তোমাদের এই নিঃসঙ্গ জীবনে সাথ দিতে পারলাম না। ক্ষমা করো মা ক্ষমা করো আমাকে। চা-নাস্তা টেবিলে পড়ে থাকে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে হাফিজ নাড়াচাড়া করতে থাকে।

আব্বা আম্মার কাছে কি তার খবর পৌঁছেছে? মা হয়তো কিছুই বুঝবে না লেখাপড়া না জানা সেকালের একজন গ্রাম্য গৃহবধূ। আব্বা তো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। সবকিছু খোঁজখবর রাখেন। একমাত্র বাবার উৎসাহে আজ হাফিজ এই পর্যন্ত পৌঁছেছে।

ভাবতে ভাবতে এলিয়ে পড়ে হাফিজ। কেমন যেন এক অপরাধবোধ গ্রাস করে তাকে।

কেন, কেন এমন পরিণতি হলো তার? বাবা মাকে সেবা করার কপাল আল্লাহ তাকে কেন দেননি। বাবার উপর এক নিদারুন অভিমানে বুকটা ভারী হয়ে ওঠে তার। মনে পড়ে যায় অতীতের কথা। যেদিন প্রথম মাদ্রাসায় পাঠাবে বলে বাবা ব্যাগটা কিনে এনেছিল সেদিন থেকেই বাবার প্রতি তার অভিমান। কোনদিন মুখ ফুটে একটা শব্দও বলতে পারত না। বাবার সব কথায় মাথা নেড়ে সম্মতি জানানই তার স্বভাব ছিল। বেদনারা মনের বাগানে যতই ঝড় তুলুক, তছনছ করে দিক হৃদয়তন্ত্রীকে বাইরে তার প্রকাশ করতে পারতোনা। হাফিজ। হয়তো আব্বাজীর প্রতি এমন গভীর শ্রদ্ধা বোধ তাকে জীবন সংগ্রামে তরতর করে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

…..আচ্ছা আফসানা এমনটা কেন হয় বলতো? আমি আব্বা মায়ের একমাত্র সন্তান অথচ আজ আমাকে সব ছেড়ে কেন এতদূর পড়ে থাকতে হচ্ছে?

—– এটাই নিয়তি। তোমার রুজি যেখানে সেখানেই তোমাকে ছুটে যেতে হবে পৃথিবীর কোন শক্তি তোমাকে রুখতে পারবে না। এই আমরা, মেয়েরা। আমরা তো বাপ মা ভাই বোন সবকে ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি চলে যাই। প্রথম প্রথম দু’চারদিন মন খারাপ করে তারপর স্বামীর ঘরটাই নিজেদের ঘর হয়ে যায়।
আফসানার যুক্তির কাছে হার মেনে আবার নিথর হয়ে যায় হাফিজ।
—–তুমি অকারণ পেরেশান হচ্ছ। তুমি তো বাবা মাকে অবহেলা করো না। প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নাও। তারাও তো তোমার বিরুদ্ধে কোনোদিন কোনো অভিযোগ করেনি।
—- আফসানা, তুমি আকমাল আসিফাকে ছেড়ে কতদিন থাকতে পারবে?

এবার যেন গম্ভীর হয়ে যায় আফসানা। সে আর কিছু বলতে পারেনা।
—– আচ্ছা আমরা পিতামাতার প্রতি কোন দায়িত্ব পালন না করে যে দোয়া করি -: “রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা” আল্লাহ কি এতে রাগ করেন না? আল্লাহ কি আমাদের ক্ষমা করবেন?
আফসানা আগের মতোই নীরব থাকে। সেও যেন বিহ্বল হয়ে পড়ে। হাফিজ ও আফসানা যখন চিন্তার গভীরে ডুব দিয়েছে তখন হানিফ সাহেব ও হাসিনা বিবি ছেলের সাফল্যের শুকরিয়া জানাতে হয়তো লুটিMয়ে পড়েছে সিজদায়।

—–মা…. মা…. মা…. দাদাজীর ফোন। দাদা জীর ফোন।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে ছুটে আসে আসিফা।

আসসালামু আলাইকুম, হ্যালো-হ্যালো- হ্যালো………
যাহ! আবার ডিসকানেকশন। হাফিজ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মোবাইলের দিকে।

Related Articles

Back to top button
error: