‘দৈনিক ভাস্কর’, ‘ভারত সমাচার’-এর অফিসে আয়কর হানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা
টিডিএন বাংলা ডেস্ক : হিন্দি সংবাদপত্র ‘দৈনিক ভাস্কর’ এবং বৈদ্যুতিন মাধ্যম ‘ভারত সমাচার’-এর দফতরে হঠাৎ আয়কর হানা। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে ইমারজেন্সির ইমারজেন্সি, সুপার ইমার্জেন্সি বলে উল্লেখ করেছেন। তার অভিযোগ, দৈনিক ভাস্কর পত্রিকা উত্তরপ্রদেশে করোনায় মৃতদের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার ছবি তুলে ধরার এবং পেগাসাস বিতর্কে কলম ধরাতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ নেমে এসেছে তাদের ওপর। এর আগেও তিনি টুইটারে লেখেন, “করোনা অতিমারীর মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদির অপারগতাকে দৈনিক ভাস্কর সাহসের সঙ্গে তুলে ধরেছিল। তাই এই প্রতিশোধমূলক আচরণ। গণতন্ত্রের মূলনীতিতে খর্ব করা হচ্ছে।”
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, “সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার কারণ হল মোদি সরকার সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। এটা ফ্যাসিবাদী মনোভাবের পরিচয়। এরা সত্য দেখতে চায় না।” কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইটারে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, এক সময়ে স্বাধীন ও নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রশংসা করা হতো। আর এখন সাংবাদিকদের সম্মানহানি করাই বড় কথা।” কংগ্রেস নেতা দ্বিগবিজয় সিং টুইটারে লিখেছেন, “সাংবাদিকদের ওপরে এ হলো মোদি- শাহের প্রহার। এদেরই অস্ত্র হলো আইটি, ইডি, সিবিআই।”
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “সরকারের এই তল্লাশি-রাজ দিনের শেষে কাজে আসবে না। সত্যকে চাপা দিতে ভয় দেখানো হচ্ছে। গঙ্গায় দেহ ফেলে দিয়েও সত্যকে চাপা দেওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা করছি।”
আইকর হানাদারির নিন্দায় সরব হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, “দৈনিক ভাস্কর এবং ভারত সমাচার এর দপ্তরে এই আইকর হানা সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর চেষ্টা। ওর বার্তা স্পষ্ট, যারা বিজেপি সরকারের সমালোচনা করবে তাদের রেহাই নেই। অবিলম্বে এই আয়কর হানা বন্ধ করতে হবে। সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।” এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়াও।
উল্লেখ্য, দিল্লি, ভোপাল, ইন্দোর, আমেদাবাদ ছাড়াও জয়পুরে দৈনিক ভাস্কর সংবাদপত্রের অফিসে আয়কর হানা দেয়। ওই সংবাদপত্রের সম্পাদক ওম গৌড় অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না।